নয়া দিল্লি: স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ, তার ফল ভুগতে হল স্ত্রীর পাশাপাশি পরিবারের বাকি সদস্য থেকে শুরু করে প্রতিবেশীদেরও! স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক (Extra Marital Affair) রয়েছে, এই সন্দেহেই শুক্রবার বচসা শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। রাগের বশে স্ত্রীকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন বছর ৪০-র ব্যক্তি। যেমন বলা, তেমন কাজ। রান্নাঘরে গিয়ে গ্যাসের পাইপ (GAs Pipe) খুলে গোটা ঘরে এলপিজি (LPG) ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। এরপর নিজেই ঘরে আগুন লাগিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Blast) হয়। বিস্ফোরণের জেরে ওই ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রী সহ মোট ১০ জন পুড়ে যান। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে দিল্লি-গাজিয়াবাদের লোনি সীমান্ত এলাকার তিলক নগর কলোনিতে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত ব্য়ক্তির নাম সুরেশ (৪০)। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর স্ত্রী রীতু (৩৬)-র সঙ্গে বচসা চলছিল। সুরেশের সন্দেহ ছিল, স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। তিনি যখন বাড়িতে থাকেন না, সেই সময় স্ত্রীর প্রেমিক দেখা করতে আসে। শুক্রবারও এই বিষয় নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। ধীরে ধীরে বচসা এতটাই বাড়ে যে স্ত্রীকে খুন করারও হুমকি দেন সুরেশ। রাগের বশেই তিনি রান্নাঘরে গিয়ে ওভেন থেকে গ্যাসের পাইপ খোলেন এবং তা গোটা ঘরে ছড়িয়ে দেন।
স্বামীর এই কীর্তি দেখে প্রাণভয়ে চিৎকার করতে শুরু করেন। তাঁর চিৎকার শুনে পরিবারের অন্য়ান্য সদস্যরা ছুটে আসেন। জোর করে দরজা খুলিয়ে তারা গ্যাসের রেগুলেটর বন্ধ করেন। কিন্তু এরইমধ্যে সুরেশ গ্যাস লাইটার অন করেন, সঙ্গে সঙ্গে ঘরে আগুন লেগে যায় এবং ছোটখাটো বিস্ফোরণ হয়। আগুনে সুরেশ, তাঁর স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও বেশ কয়েকজন প্রতিবেশী মিলিয়ে মোট ১০ জন পুড়ে যান। আশেপাশের বাসিন্দারা আগুন দেখতে পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দেন। আহতদের উদ্ধার করে দিল্লির জিটিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে ১০জনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সুরেশের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁর স্ত্রী নয়, বরং সুরেশই এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে রয়েছে। সম্প্রতিই ওই মহিলা তাঁর স্বামীকে ছেড়ে দেন এবং একা থাকা শুরু করেন। পরিবারের দাবি, মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে সুরেশ, সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। অন্যদিকে, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সুরেশের পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ জানানোর পরই তার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।