Online Money Games Bill: অনলাইন গেমে ৩ বছরের জেল, ১ কোটি টাকা জরিমানা! নতুন বিল পাশ কেন্দ্রের
Parliament Update: এই বিলে যেকোনও ধরনের অনলাইন গেম, যেখানে ইউজার বা ব্যবহারকারীকে ফি দিয়ে গেম খেলতে হয় বা টাকা জমা দিতে হয় কিংবা টাকা বিনিয়োগ করে অর্থ রিটার্ন পাওয়া যায়, তাকে অনলাইন মানি গেম হিসাবে গণ্য করা হয়েছে।

নয়া দিল্লি: টাকা লাগিয়ে অনলাইন গেম খেলায় নিষেধাজ্ঞা। এই ধরনের অনলাইন গেমের প্রচার করলেও পেতে হবে সাজা। লোকসভায় বুধবার, ২০ অগস্ট পেশ হতেই পাশ হয়ে গেল প্রোমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অব অনলাইন গেমিং বিল ২০২৫। এই বিলে ভারতে অনলাইন গেমিং কোম্পানিগুলির কাজের আইনি কাঠামো তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
এ দিন কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব লোকসভায় এই বিল পেশ করেন। এই বিলে যেকোনও ধরনের অনলাইন গেম, যেখানে ইউজার বা ব্যবহারকারীকে ফি দিয়ে গেম খেলতে হয় বা টাকা জমা দিতে হয় কিংবা টাকা বিনিয়োগ করে অর্থ রিটার্ন পাওয়া যায়, তাকে অনলাইন মানি গেম হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। ২(এইচ) ধারার অধীনে এই ধরনের পরিষেবা দিলে ৩ বছর পর্যন্ত জেল, ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় সাজা হতে পারে। কোনও ব্যক্তি যদি এই ধরনের প্ল্যাটফর্মের প্রচার করেন, তবে ২ বছর পর্যন্ত জেল বা ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় সাজা হতে পারে।
কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে একটি দফতর তৈরির প্রস্তাবনাও দেওয়া হয়েছে এই বিলে, যা অনলাইন গেম আদৌ অনলাইন মানি গেম কি না, তা বিচার করবে। সরকারের হাতে তদন্ত করা, বিনা ওয়ারেন্টেই তল্লাশি, গ্রেফতার করার ক্ষমতা থাকবে।
তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০০০-র ৬৯এ ধারা না মানা হলে, অনলাইন মানি গেমিং সার্ভিস ব্লক করে দেওয়ার অধিকার থাকবে। এই আইন শুধুমাত্র ভারতের গেমিং নয়, দেশের বাইরে থেকে পরিচালিত গেমিং অ্যাপের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে এই বিল থেকে ই-স্পোর্টসকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সরকার এই বিলে শিক্ষামূলক ও বিনোদনের জন্য অনলাইন সোশ্যাল গেম প্রচার ও স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
বিগত কয়েক বছর ধরেই বিপুল জনপ্রিয় অনলাইন গেমিং অ্যাপগুলি। আসল টাকা লাগিয়েও এই অ্যাপগুলিতে গেম খেলা হয়। এই প্রলোভনের ফাঁদে পা দিয়ে বহু মানুষ লাখ লাখ টাকা খুইয়েছেন। এই বিলের মাধ্যমে এবার এই অনলাইন গেমিংয়ের জগতে রাশ টানতে চলেছে কেন্দ্র। একদিকে যেমন ব্যান বা নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তেমনই এই ধরনের প্ল্যাটফর্মের প্রচারের জন্য মোটা অঙ্কের জরিমানা চাপানোর কথা বলা হয়েছে, এমনকী জেলও হতে পারে।
যেখানে কয়েক বছর আগেই গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে জোর দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার, সেখানেই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এবং সামাজিক অবক্ষয় রুখতে এই বিল আনা হল।
২০২৯ সালের মধ্যে অনলাইন গেমিংয়ে ৯ বিলিয়ন ডলারের মার্কেট তৈরি হতে চলেছে ভারতে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় সরকার অনলাইন গেমিং, ঘোড়া দৌড়, ক্যাসিনোর উপরে ২৮ শতাংশ জিএসটি বসায়। গত সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান যে অনলাইন গেমিং থেকে মাত্র ৬ মাসেই কেন্দ্রের আয় হয়েছে ৬৯০৯ কোটি টাকা। ৪১২ শতাংশ আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আগে ১৩৪৯ কোটি টাকা ছিল। অনলাইন মানি গেমসে নিষেধাজ্ঞায় কেন্দ্রের ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হবে বলেই সরকারের হিসাব।

