Kanpur: ‘রানি করে রাখব’, নাবালিকাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলত, তারপরই শুরু হত আসল খেলা…
Criminal blackmailing young women: এক কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতেই কেশবের কুকীর্তি সামনে আসে। কেশব ওই কিশোরীকেও প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল। কিশোরীকে বলত, "আমি কখনও তোমাকে ছেড়ে যাব না। তোমার বাবা-মা তোমাকে খুশি রাখতে পারবে না।" কিশোরীর বাবা-মা যাতে সন্দেহ না করে, সেজন্য তাকে রাখি বাঁধতেও বলেছিল কেশব।

কানপুর: একজন-দু’জন নয়। কমপক্ষে ২০ জন নাবালিকা। তাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে দিনের পর দিন ধর্ষণ করত। শুধু তাই নয়, নগ্ন ছবি তুলে রেখে ব্ল্যাকমেইলও করত। উত্তর প্রদেশের কানপুরের এক যুবকের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। এক নাবালিকা মুখ খুলতেই সামনে এল বিস্ফোরক সব তথ্য। কেশব উত্তম নামে অভিযুক্ত যুবক বর্তমানে পলাতক। তবে তার মোবাইল থেকে নাবালিকাদের নগ্ন ছবি, ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কানপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ক্যান্টিন চালায় অভিযুক্ত যুবক। নাবালিকাদের টার্গেট করত সে। তাদের প্রেমের ফাঁদের ফেলত। তারপর ব্রেনওয়াশ করত। নাবালিকাকে তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ভুল বোঝাত। বলত, “তোমার পরিবার তোমার ভাল চায় না। আমি তোমাকে রানি করে রাখব।” এরপরই নাবালিকাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করত। আর তাদের নগ্ন ছবি তুলে রেখে ব্ল্যাকমেইল করত। বারবার ধর্ষণ করত।
এক কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতেই কেশবের কুকীর্তি সামনে আসে। কেশব ওই কিশোরীকেও প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল। কিশোরীকে বলত, “আমি কখনও তোমাকে ছেড়ে যাব না। তোমার বাবা-মা তোমাকে খুশি রাখতে পারবে না।” কিশোরীর বাবা-মা যাতে সন্দেহ না করে, সেজন্য তাকে রাখি বাঁধতেও বলেছিল কেশব।
কিশোরীর পরিবার জানিয়েছে, তাদের মেয়েকে প্রায়ই ডাকত কেশব। তারপর ধর্ষণ করত। অবশেষে ওই কিশোরী পরিবারকে সব ঘটনা জানায়। কিশোরীর পরিবার যখন ওই যুবককে ধরতে গেলে মোবাইল ছেড়ে রেখে সে পালায়। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। কেশবের মোবাইল থেকে ২০ জনের বেশি নাবালিকার সঙ্গে তার অশ্লীল ছবি ও ভিডিয়ো উদ্ধার হয়। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
