তিরুবনন্তপুরম: ৬৪ বার যৌন নিগ্রহ। এমনই নৃশংসতার ঘটনা প্রকাশ্য়ে এল কেরলে। পাঁচ বছরে একাধিকবার হেনস্থার শিকার হয়েছেন এক দলিত মহিলা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে দায়ের করা হয়েছে মামলা। কিশোর বেলা থেকেই বারংবার হেনস্থার শিকার তিনি, দাবি নির্যাতিতার।
কিন্তু এতগুলো বছর কেন চুপ করেছিলেন নির্যাতিতা? জানা যায়, সমীক্ষার কাজে সেই নির্যাতিতার গ্রামে গিয়েছিল একটি মহিলা-সুরক্ষা সংগঠন। তখনই তাদের কাছে নিজের জীবনের এই অন্ধকারাচ্ছন্ন সময়গুলিকে মেলে ধরেন সেই নির্যাতিতা। তাঁর দাবি, মাঠে-ঘাটে-পথে সর্বত্র হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। ৬৪ জনের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তোলেন তিনি। ইতিমধ্য়ে সেই বয়ানের ভিত্তিতে কেরলের পঠনমথিত্তা থানায় দায়ের করা হয়েছে শিশু যৌন নিগ্রহের একটি মামলা।
১৩ বছর বয়স থেকে নানাভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয় সেই মহিলা। প্রথমবার হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন তার এক প্রতিবেশীর কাছে। পর্ন দেখিয়ে নির্যাতিতাকে যৌন নিগ্রহ করেছিলেন সেই প্রতিবেশী।
ছোট থেকেই খেলাধূলায় মন ছিল তাঁর। কিন্তু ধর্ষকের ‘লাল চোখ’ সেখানেও পিছু ছাড়েনি তাঁর। স্কুলে প্রশিক্ষণ চলাকালীনও যৌন হেনস্থার শিকার হয় সে। এমনকি তাঁর অশালীন ভিডিয়ো ও ছবি ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত তাঁকে। বর্তমানে নির্যাতিতার বয়স আঠারো। আর কিশোরবেলা থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার এই দৌড়ের মাঝেই পঞ্চাশেরও অধিক বার যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে, এমনটাই অভিযোগ সেই নির্যাতিতার।
ইতিমধ্যে, নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে দায়ের হয়েছে মামলা। গ্রেফতার করা হয়েছে মোট দশ জনকে। তদন্তের স্বার্থে নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করবে পুলিশ, এমনটাই খবর। নির্যাতিতাকে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলেই দাবি ওই জেলার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান এন রাজীবের।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা। ১৩ বছর থেকেই মেয়েটি নানাভাবে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছে। খেলাধূলায় ভাল ছিল, মন ছিল সেখানে। কিন্তু, প্রশিক্ষণের নামে একাধিকবার যৌন হেনস্থা শিকার হয়ে সেই পথও ছেড়ে দিতে হয় তাঁকে।’