নয়া দিল্লি : এই বছর শুরুর দিকে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই সৈকত রাজ্যে ক্ষমতা কায়েম করতে ময়দানে কোমর বেঁধে নেমেছিল একাধিক রাজনৈতিক দল। তার মধ্যে রয়েছে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস, আপ। নির্বাচনে নেমে ঢালাও খরচ করেছে একাধিক দল। এদিক থেকে বিজেপিকে মাত দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, গোয়ায় নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস খরচ করেছে মোট ৪৭ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা। আর সেখানে গোয়ায় শাসকদল বিজেপির খরচ হয়েছে ১৭ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার একটু বেশি। তবে তৃণমূল বিজেপির তুলনায় এত টাকা খরচ করার পরও নির্বাচনী সমীকরণে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। ফের ক্ষমতায় আসে বিজেপিই।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়রথ আটকে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হ্যাট্রিক করা পর আত্মবিশ্বাসে ভর করে দেশ জয়ের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন মমতা। ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে বাংলার বাইরে একাধিক ছোটো ছোটো রাজ্যে নিজেদের সংগঠন মজবুত করতে ময়দানে নেমে পড়েন তিনি। সেই তালিকায় প্রথমেই যে রাজ্যগুলি ছিল তার মধ্যে অন্যতম ত্রিপুরা ও গোয়া। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করে এই খেলা সাজান মমতা। দেশের একাধিক রাজ্যে তৃণমূলের ঘাসফুলের ছাপ ফেলার দায়িত্ব পড়ে অভিষেকের উপর। এই কাজে অভিষেক কতটা সফল তা আলোচনাসাপেক্ষ। তবে ময়দানে নেমে বিজেপির ঘর ভাঙাতে কোনও প্রচেষ্টা বাকি রাখেনি তৃণমূল। তাই সেই খাতে ব্যয়ও হয়েছে প্রচুর। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী,সব রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে তৃণমূল। গোয়ায় ২৩ জন প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছিল তৃণমূল। তবে ঘরে আসেনি একটি আসনও। তবে তাদের জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি ১৩ টি আসনের মধ্য়ে মাত্র ২ টি আসন পেয়েছে।
গোয়ায় এই বিধানসভা নির্বাচনে কম বেশি সব রাজ্যই খরচ করেছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বিজেপির খরচ হয়েছে ১৭ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার কিছু বেশি। তাদের ব্য়য়ে মিলেছে ফলও। গোয়ায় বিজেপিই ফের সরকার গঠন করেছে। মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হয়েছে প্রমোদ সওয়ান্ত। অরবিন্দ কেজরীবালের আপ খরচ করেছে ৩.৫ কোটি টাকা। আর ৪০ টির মধ্যে পেয়েছে ২ টি আসন। এদিকে গোয়ায় নির্বাচনে আশায় বুক বেঁধেছিল কংগ্রেস। বিজেপিকে প্রতিরোধের স্বপ্ন দেখলেও নিজেদের জয় ক্ষীণ হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস নির্বাচনে মোট ১২ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এদিকে ন্য়াশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি তাদের ১১ জন প্রার্থীদের প্রত্যেককে ২৫ লক্ষ টাকা করে দিয়েছে। শিবসেনা ১০ জন প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিল। আর খরচ হয়েছিল মোট ৯২ লক্ষ টাকা।