High Court: ‘আমি বিয়ে করতে রাজি’, শর্ত মেনে হাইকোর্টে জামিন পেলেন ধর্ষণে অভিযুক্ত

Oct 15, 2024 | 12:54 PM

High Court: বিচারপতি কৃষ্ণা পাহালের সিঙ্গল বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করে সম্পর্কে জড়ায় অভিযুক্ত। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়ে নাবালিকা। তার শারীরিক সম্পর্ক ছিল, যার জেরে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

High Court: আমি বিয়ে করতে রাজি, শর্ত মেনে হাইকোর্টে জামিন পেলেন ধর্ষণে অভিযুক্ত
Image Credit source: Pixabay

Follow Us

এলাহবাদ: ধর্ষণের মামলায় একটি উল্লেখযোগ্য রায় দিল আদালত। বিয়ে করার শর্তে পকসো (POCSO) আইনে হওয়া মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন অভিযুক্ত। নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল যুবকের বিরুদ্ধে। গর্ভবতী হয়ে পড়েন ওই নাবালিকা। সেই সন্তানের দায়িত্বও নিতে হবে ওই অভিযুক্তকে। এলাহবাদ হাইকোর্টের এই নির্দেশ ঘিরে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে।

নির্যাতিতাকে বিয়ে করে একটা ভাল জীবন দেবেন, এই শর্তে সোমবার নির্যাতিতার জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। আদালত আরও বলেছে যে অভিযুক্ত এবং নির্যাতিতার সম্পর্কে জন্ম নেওয়া সন্তানের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব থাকবে অভিযুক্তের। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ৬ মাসের মধ্যে যাতে নবজাতকের নামে ২ লক্ষ টাকা জমা করা হয়, সেই নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি। আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছে, শুধুমাত্র অভিযুক্ত বলে একজন ব্যক্তির জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত যে অভিযুক্ত নির্দোষ বলে বিবেচিত হয়, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি।

বিচারপতি কৃষ্ণা পাহালের সিঙ্গল বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করে সম্পর্কে জড়ায় অভিযুক্ত। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়ে নাবালিকা। তার শারীরিক সম্পর্ক ছিল, যার জেরে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ছেলের পরিবার বিয়ে দিতেও রাজি হয়নি। শুধু তাই নয়, তাঁর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হত বলেও দাবি নির্যাতিতার বাবার। এরপর, পুলিশ পকসো আইনে মামলা দায়ের করে।

অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে বলেন, ওই সময় নির্যাতিতা একজন প্রাপ্তবয়স্ ছিল, ডাক্তারি পরীক্ষায় তার বয়স ১৮ বছর বলে উল্লেখ করা হয়। ধর্ষণের অভিযোগও অস্বীকার করা হয়। আইনজীবী জানান, অভিযুক্ত নির্যাতিতার দায়িত্ব নিতে এবং বিয়ে করতেও প্রস্তুত।

আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতে আশ্বস্ত করেন যে অভিযুক্ত নবজাতকের যত্ন নিতে প্রস্তুত। গত ৪ এপ্রিল থেকে জেলে রয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, আদালত যদি নির্যাতিতাকে এখন প্রাপ্তবয়স্ক বলে বিবেচনা না করেন, তবে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন ও বিয়ে করবেন তিনি। সেই সঙ্গে সন্তানের ভরণপোষণের জন্য ২ লক্ষ টাকা জমা দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Next Article