নয়া দিল্লি: সংসদে বিরোধীরা যা বলেন, তা দেখানো হয় না। এমনটাই অভিযোগ তুললেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আর এই বিষয়টাকে তিনি ডিজিটাল ব্ল্যাকআউট বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। মঙ্গলবার তিনি এই প্রশ্নই তোলেন লোকসভায়। তাঁকে পাল্টা জবাবে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা বলেন, আপনি কি চান যে দেশের মানুষ সব বাক-বিতণ্ডা দেখবেন?
এ দিন তিনি বলেন, ‘বিরোধীদের বক্তব্য লোকসভা টিভিতে দেখানো হয় না। ট্রেজারি বেঞ্চের কেউ যখন বলেন তখন তা সবটাই দেখানো হয়ে থাকে।’ সবার দিকে ক্যামেরা সমানভাবে তাক করার আর্জি জানান তিনি। লোকসভার অধিবেশন সরাসরি সম্প্রচারিত হয় লোকসভা টিভি-তে। তাই সেই লোকসভা টিভি-র বিরুদ্ধেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন অধীর। তাঁর কথায়, এটা এক প্রকার ডিজিটাল ভেদাভেদ’।
অধীর যখন এই সব অভিযোগের কথা জানাচ্ছেন, তখন লোকসভা কক্ষে বর্ধিত গ্যাসের দাম নিয়ে আওয়াজ তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদরা। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীও এই বিষয়ে অধীর চৌধুরীকে জবাব দেন। তিনি বলেন, বিরোধীরা কোনও বিষয়ে আলোচনা চান না। তাই এই ধরনের অভিযোগ তুলছেন।
বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দফাতেই সোমবার পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ শুরু করে কংগ্রেস সহ বিরোধী দল। সকাল ১১টা অবধি স্থগিত করে দেওয়া হয় অধিবেশন। ১১টার পর ফের অধিবেশন শুরু হতেই কংগ্রেস সাংসদরা ফের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবি তুললে ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ দুপুর ১টা অবধি অধিবেশন মুলতুবি করে দেন।
কয়েকদিন পর থেকেই শুরু হচ্ছে চার রাজ্য ও এক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে বিধানসভা নির্বাচন। এরই মাঝে সোমবার থেকে শুরু হল বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় ভাগ। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে বাজেট অধিবেশন উত্তাল হয়েছিল কৃষক আন্দোলন নিয়ে। এদিন অধিবেশন শুরু হওয়ার পরও ফের বিরোধীরা সরব হন, তবে এবারে তাঁরা পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে স্লোগান দেন ও আলোচনার দাবি জানান।