Maharashtra Politics: ফের শিবির বদলের অস্থিরতা! শিণ্ডে শিবিরের বিধায়করা যোগাযোগ রাখছেন উদ্ধবের সঙ্গে
শিবসেনার বেশ কয়েক জন বিধায়ক নিয়ে ভাগ হয়ে যান একনাথ শিণ্ডে। উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে থাকে শিবসেনার অপর গোষ্ঠী। একই ঘটনা ঘটে এনসিপি-র ক্ষেত্রে। শরদ পাওয়ারের ছাতার তলা থেকে বেরিয়ে এসে তাঁর ভাইপো অজিত পওয়ার আদালা হয়ে যান। কিন্তু মূল দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অজিত পাওয়ার এবং একনাথ শিণ্ডে কেউই লোকসভা ভোটে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাননি।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফল জাতীয়-সহ আঞ্চলিক রাজনীতিতেও নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশেষত মহারাষ্ট্রে। গত বছর থেকেই মহারাষ্ট্রের বিরোধী জোটে ফাটল দেখেছিল দেশ। সে রাজ্যের দুই প্রধান বিরোধী দল যে ভাবে দুভাগ হয়েছে তা নিশ্চিতভাবে ভারতের রাজনীতির অবাক করা ঘটনা। শিবসেনা এবং এনসিপি- এই দুই রাজনৈতিক দলই ভাগ হয়ে যায়। দুই দল থেকেই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী মূল দল থেকে ভিন্ন হয়ে নতুন দল তৈরি করে। এবং তাঁরা বিজেপি-কে সমর্থন জানানোয় মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করে এনডিএ জোট। মহা আগাড়ি সরকারে পতন হয়।
শিবসেনার বেশ কয়েক জন বিধায়ক নিয়ে ভাগ হয়ে যান একনাথ শিণ্ডে। উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে থাকে শিবসেনার অপর গোষ্ঠী। একই ঘটনা ঘটে এনসিপি-র ক্ষেত্রে। শরদ পাওয়ারের ছাতার তলা থেকে বেরিয়ে এসে তাঁর ভাইপো অজিত পওয়ার আদালা হয়ে যান। কিন্তু মূল দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অজিত পাওয়ার এবং একনাথ শিণ্ডে কেউই লোকসভা ভোটে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাননি। বরং উদ্ধব এবং শরদ পাওয়ারের দলের ফল তাঁদের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর থেকে অনেক ভালো। উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা যেখানে জিতেছে ৯টি লোকসভা আসন। কিন্তু বেশি বিধায়ক থাকা সত্ত্বেও একনাথ শিণ্ডের শিবসেনা জিতেছে ৭টি লোকসভা আসন। অন্যদিকে শরদ পাওয়ারের এনসিপি জিতেছেন ৮টি আসনে। কিন্তু অজিত পাওয়ারের এনসিপি পেয়েছে মাত্র একটি আসন।
এই পরিস্থিতিতেই উদ্ধব এবং অজিতের শিবিরের বেশ কয়েক জন বিধায়ক মূল শিবিরে ফিরতে চাইছেন বলে জানা গিয়েছে। ইন্ডিয়া টুডের-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, একনাথ শিবিরের ৫-৬ জন বিধায়ক উদ্ধব শিবিরে এবং অজিত শিবিরের ১৫-১৬ জন বিধায়ক শরদের শিবিরে ফিরতে চাইছেন। বিধায়কের যোগাযোগের খবর স্বীকারও করেছেন শরদ শিবিরের জয়ন্ত পাটিল। তবে এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও জানিয়েছেন। রবিবার দলীয় বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে কথা হতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে। এ বছরের শেষের দিকেই ভোট রয়েছে মহারাষ্ট্রে। তার আগে বিধায়করা নিজেদের ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে নিরাপদ শিবিরে আশ্রয় নিতে চাইছেন বলে মত বিশ্লেষক মহলের। মহারাষ্ট্রে রাজনীতির এই ডামাডোল আরও কতটা টালমাটাল হয়, সে দিকে নিশ্চিত ভাবে নজর থাকবে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক মহলের।