Chaddi Politics: কর্নাটকে চলছে ‘চাড্ডি নাটক’, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বস্তা বস্তা অন্তর্বাস পাঠাচ্ছে বিজেপি-আরএসএস
Karnataka Chaddi Politics: কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়াকে বস্তা বস্তা অন্তর্বাস পাঠাচ্ছে আরএসএস এবং বিজেপি। কেন জানেন?
ব্যাঙ্গালোর: বিজলি-সড়ক-পানি’র দাবি নয়। কৃষকদের সমস্যা নয়। বস্তুত, কোনও নীতি বা প্রকল্প নিয়েই লড়াই নয়। কর্নাটকে বর্তমানে রাজনৈতিক লড়াইয়ের কেন্দ্রে অন্তর্বাস! কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে, ‘চাড্ডি পোড়ানোর’ আহ্বান দিয়েছিলেন। এর পাল্টা এখন আরএসএস-এর কর্মীরা কংগ্রেস কার্যালয়ে রাশি রাশি অন্তর্বাস পাঠাতে শুরু করেছেন। দক্ষিণের এই রাজ্যে শুরু হয়েছে জোরদার ‘চাড্ডি’ যাত্রা। কিন্তু, কীভাবে শুরু হল এই নাটকীয় রাজনৈতিক লড়াই?
এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল গত সপ্তাহে। ‘শিক্ষায় গৈরিকিকরণের’ প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের শিক্ষার্থী শাখা, জাতীয় ছাত্র পরিষদের কয়েকজন সদস্য। তারা দাবি করেছিল, রাজ্যের পাঠ্যপুস্তকগুলির মাধ্যমে আরএসএ-বিজেপির আদর্শ প্রচার করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বিসি নাগেশের বাড়ির বাইরে জমায়েত করেছিল তারা। প্রতিবাদের অংশ হিসাবে তারা একটি খাকি শর্টপ্যান্ট পুড়িয়েছিল। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ৯০ বছর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের উর্দির অংশ ছিল খাকি শর্টপ্যান্ট। ২০১৬ সালে, সেই উর্দি বদলে খাকি ফুলপ্যান্ট করা হলেও, আরএসএস-এর প্রতীক হয়ে গিয়েছে।
ছাত্র পরিষদের খাকি শর্টপ্যান্ট পোড়ানো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলেও, দলের শিক্ষার্থী শাখার ওই কর্মসূচিকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। রবিবার, ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘ছাত্রপরিষদের সদস্যরা পুলিশের সামনে চাড্ডি পুড়িয়েছে। তাতে কী হয়েছে? আমরা আরএসএস-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সর্বত্র চাড্ডি পোড়াবো’।
এরপরই, আরএসএ এবং বিজেপি কর্মীরা সিদ্দারামাইয়ার বাড়িতে এবং কংগ্রেসের বিভিন্ন কার্যালয়ে অন্তর্বাস পাঠাতে শুরু করেছে। বিজেপি নেতা চালাবাড়ি নারায়ণস্বামী বলেছেন, ‘সিদ্দারামাইয়া যদি চাড্ডি পোড়াতে চান, তবে তিনি নিজের বাড়ির ভিতরে পোড়ান। আমি এসসি মোর্চার সমস্ত জেলা সভাপতিদের বলেছি, তাদের চাড্ডি পাঠিয়ে সিদ্দারামাইয়াকে সাহায্য করতে। তবে, তার আগে আমি সিদ্দারামাইয়াকে বলব দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে। কারণ চাড্ডি পোড়ালে বায়ু দূষণ হবে। আমি কখনই ভাবিনি সিদ্দারামাইয়া এই স্তরে নেমে যাবেন’। কর্নাটকের মান্ড জেলার আরএসএস কর্মীরা ইতিমধ্যেই অন্তর্বাস সংগ্রহ করা শুরু করে দিয়েছেন। জাতীয় কংগ্রেসের বিভিন্ন কার্যালয়ে সেই সংগৃহীত অন্তর্বাস পাঠানো হচ্ছে। তাদের দাবি, চাড্ডি পুড়িয়ে যদি আরএসএস-এর বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রতিবাদ জানাতে পারে, তাহলে তারাও সেই চাড্ডির জোগান দিয়ে সিদ্দারামাইয়ার মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাবে।
এদিকে, কংগ্রেস তথা সিদ্দারামাইয়ার চাড্ডি পোড়ানো প্রতিবাদ নিয়ে চরম কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তিনি বলেছেন, ‘সিদ্দারামাইয়া এবং কংগ্রেসের চাড্ডি ঢিলে হয়ে গিয়েছে। তাদের চাড্ডি ছিঁড়ে গিয়েছে। তাই তারা এখন চাড্ডি পোড়ানো শুরু করেছে। উত্তর প্রদেশে তাদের চাড্ডি হারিয়ে গিয়েছে। চামুন্ডেশ্বরীতে সিদ্দারামাইয়া তাঁর চাড্ডি লুঙ্গি সব খুইয়েছেন। এর জন্য়ই তিনি সংঘের চাড্ডি পোড়ানোর চেষ্টা করছেন’। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন চামুন্ডেশ্বরী আসনের বিধায়ক ছিলেন সিদ্দারামাইয়া। তবে, ২০১৮ সালের ককর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে জেডি(এস)-এর জিটি দেবগৌড়ার বিরুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।