Ahmedabad Plane Crash: একটা নির্দেশিকা মেনে কাজ করলে বেঁচে যেত শতাধিক প্রাণ! Air India-র বড় ‘গাফিলতি’ প্রকাশ্যে আনল AAIB
Air India Plane Crash Report: এই নির্দেশিকা মেনে কোনও রক্ষণাবেক্ষণ করেনি এয়ার ইন্ডিয়া। কারণ তাদের মনে হয়েছিল এই নির্দেশিকা শুধুমাত্র একটি গাইডলাইন, বাধ্যতামূলক নয়।

নয়াদিল্লি: কয়েক সেকেন্ডের যান্ত্রীক গোলযোগ। যার মাশুল গুনতে হল কয়েকশো প্রাণকে। শনিবার মধ্যরাতে আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে একটি ১৫ পাতার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে দেশের বিমান দুর্ঘটনা তদন্তাকারী সংস্থা এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো বা এএআইবি।
সেই রিপোর্টে তারা জানিয়েছে, বিমান ওড়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই বিমানের দু’টি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এএআইবি পরিভাষায় বলতে গেলে, সেকেন্ডের জন্য ইঞ্জিনগুলির ফুয়েলের সুইচ RUN থেকে CUTOFF হয়ে যায়। আবার সেকেন্ডের মধ্যে তা ON হলে আকাশে ওড়ার চেষ্টা করেন চালকরা। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল। ফুয়েলে ইঞ্জিনে সেকেন্ডের বিচ্ছেদ ততক্ষণে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে তাদের।
কিন্তু ফুয়েলে ইঞ্জিনের এই বিচ্ছেদটা ঘটল কীভাবে? কেন্দ্রের কাছে থেকে এয়ার ইন্ডিয়া কেনার পর ঠিক মতো কি রক্ষণাবেক্ষণ করছিল না টাটা গোষ্ঠী? এএআইবি তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ২০১৮ সাল ফুয়েল সুইচ লক হলে কী কী হতে পারে সেই বিষয়ে একটি Special Airworthiness Information Bulletin (SAIB) প্রকাশ করেছিল আমেরিকার Federal Aviation Administration (FAA)।
এই নির্দেশিকা মেনে কোনও রক্ষণাবেক্ষণ করেনি এয়ার ইন্ডিয়া। কারণ তাদের মনে হয়েছিল এই নির্দেশিকা শুধুমাত্র একটি গাইডলাইন, বাধ্যতামূলক নয়।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এই বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের রিপোর্ট অনুযায়ী যে ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ ককপিটের Throttle control module-এর মধ্যে থাকে। যা আসলে সেই বিমানের ইঞ্জিনে পর্যাপ্ত বায়ু প্রবাহের মাধ্যমে দিয়ে তার গতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। সেই Throttle control module ২০১৯ এবং ২০২৩ সালে পরিবর্তন করা হয়েছিল। এদিকে ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ, যাতে সমস্যার কারণে এত বিপত্তি, সেই সমগ্র প্যানেল পরিবর্তন করা হয়নি।
দুর্ঘটনার পর অনেকেই অনুমান করেছিলেন, সম্ভবত বিমানের ফ্ল্যাপে বা সহজ ভাষায় বলতে গেলে ডানার অবস্থান কোনও গণ্ডগোল ছিল। কিন্তু এএআইবি জানিয়েছে, তেমন কিছুই নয়। উড়ানের সময় বিমানের ওজন ও ফ্ল্যাপের পজিশন যেমন থাকা উচিত, তেমনটাই ছিল।

