Air India Plane Crash: মাত্র ৪ মিনিট! বিমান টেক অফের পরই ATC-কে MAYDAY কল পাইলটের, অভিশপ্ত ৪ মিনিটে ঠিক কী ঘটে?
Air India Plane Crash: এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিম লাইনার ফ্লাইট এআই১৭১, এটা একটা জাম্বো বিমান। বৃহস্পতিবার দুুপুর ১.৩৪ মিনিট নাগাদ বিমানটি টেক অফ করে। তারপর ১.৩৮ মিনিট নাগাদই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মাঝের ফারাক মাত্র ৪ মিনিট। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, টেক অফের পরই পাইলট সুবীর সবরওয়াল বুঝতে পেরেছিলেন বিমানে কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ তৈরি হচ্ছে।

আহমেদাবাদ: ৭ কিলোমিটার, ১৯ মিনিট, ৬০০ ফুট, ৩২২ কিমি প্রতি ঘণ্টা! অভিশপ্ত এআই১৭১ বিমানের ভেঙে পড়ার নেপথ্যে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে এই সংখ্যাতত্ত্বগুলো। অর্থাৎ টেক অফের পর মাত্র ৭ কিলোমিটার ১৯ মিনিটের দূরত্বেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী বিমানটি। আর সে সময়ে বিমানটির গতি ছিল ৩২২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা, মাটি থেকে ৬০০ ফুট উচ্চতায় ছিল বিমানটি। সাধারণ টেক অফের পর সেই উচ্চতাই স্বাভাবিক বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে উঠে এসেছে চার মিনিটের সময়ের ব্যবধান।
এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিম লাইনার ফ্লাইট এআই১৭১, এটা একটা জাম্বো বিমান। বৃহস্পতিবার দুুপুর ১.৩৪ মিনিট নাগাদ বিমানটি টেক অফ করে। তারপর ১.৩৮ মিনিট নাগাদই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মাঝের ফারাক মাত্র ৪ মিনিট। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, টেক অফের পরই পাইলট সুবীর সবরওয়াল বুঝতে পেরেছিলেন বিমানে কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ তৈরি হচ্ছে। তিনি ATC অর্থাৎ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে MAYDAY কল করেন।
MAYDAY কল করার অর্থ বড় বিপর্যয়। যখন পাইলট বুঝতে পারেন, উড়ানের ক্ষেত্রে বড় কোনও সমস্যা রয়েছে, উড়ান চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যখন সম্ভব হয় না, সেটা বুঝতে পেরেই পাইলট MAYDAY কল করেন। যদি কাছাকাছি কোনও এলাকায় ল্যান্ড করার সুযোগ থাকে, সেই সিগন্যাল দেয় ATC। ATC থেকে খবর পাওয়া মাত্রই পাইলট সেখানে ল্যান্ড করেন বিমান। যেমনটা নিউ ইয়র্কে হাডসন নদীতে বিমান নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্থাৎ DGCA-এর তরফেও জানানো হয়েছে, এআই১৭১ বিমানের পাইলট সুবীর সবরওয়ালও MAYDAY কল করেছিলেন। কিন্তু টেক অফের পর মাত্র চার মিনিটের মধ্যেই ATC-র সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিমানের। অর্থাৎ পাইলট ATC থেকে প্রত্যুত্তর পাওয়ার কোনও সুযোগই পাননি।
মাত্র চার মিনিটের বিপর্যয়! সামনে এসেছে দুর্ঘটনার মুহূর্তের ভিডিয়ো। একটি বাড়ির ছাদ থেকেই তোলা সেই ভিডিয়ো। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিমানটি টেক অফের পর কিছুটা গিয়েই নীচে নামতে শুরু করে। আর কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই প্রচণ্ড বিস্ফোরণ, আর বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। আগুনের গোলা যেন গ্রাস করে এলাকা। ভিডিয়োটি কোনও মোবাইলের ক্যামেরায় করা। বহুতলে ভরা ঘিঞ্জি এলাকার মধ্যে বিমানটি নীচে নামতে থাকে। সম্ভবত সেখানেই ধাক্কা, আর তাতেই বিস্ফোরণ! শিউরে ওঠার মতো সেই ভিডিয়ো।
