নয়াদিল্লি: সরকারি বরাত নিয়ে গত মাসেই বিতর্ক জড়িয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। দেশে তো বটেই বিতর্ক কিন্তু ছড়িয়েছিল বিশ্ব দরবারেও। অন্ধ্রপ্রদেশে সরকারি বরাত পেতে শীর্ষ আমলাদের নাকি ঘুষ দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী, এমনটাই অভিযোগ উঠেছিল খোদ মার্কিন আদালতে। নিজের রাজ্যেই অনিয়মের কাণ্ড শুনে সুর চড়িয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তবে বছর ঘুরতেই আদানিতে সুর নরম নাইডুর।
এদিন তিনি বলেন, ‘সাক্ষ্য প্রমাণ হাতে না পাওয়া পর্যন্ত আদানিদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।’ দেড় মাসেই কেন সুর বদল মুখ্যমন্ত্রীর? প্রশ্ন তুলতে ছাড়ল না বিরোধী নেতারাও। এর আগে আদানি ঘুষ কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভায় সুর চড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। অনিয়ম ধরা পড়লেই কড়া ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’
তবে বছর ঘুরতেই যে নাইডুর সুর নরম হয়েছে, এমনটাই মত একাংশের। যে সরকারি বরাত নেওয়া নিয়ে আদানির বিরুদ্ধে এত অভিযোগ তাও বাতিল করেনি অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। উল্টে মঙ্গলবার সে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘যথাযথ প্রমাণ ছাড়া আমরা কখনওই তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে পারব না। তাই যতক্ষণ সাক্ষ্য প্রমাণ হাতে আসছে তাদের (আদানি গোষ্ঠী) বিরুদ্ধে কোনও রকম পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব নয়।’
উল্লেখ্য, বাজারের থেকে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির বরাত পেতে অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ দিয়েছিলেন আদানিরা, এমনটাই অভিযোগ। নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ দায়ের হয় অন্ধ্রর এক শীর্ষ আমলার বিরুদ্ধে। ভারতীয় শিল্পপতি-সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারি ও ঘুষ দেওয়ার মামলা দায়ের হয় মার্কিন আদালতে। সেই মামলা শুনানিতে গৌতম আদানি ও তাঁর ভাইপো সাগর আদানি-সহ আরও দুই জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করে আমেরিকা।