নয়া দিল্লি: সদ্য দিওয়ালী মিটেছে। সামনেই ছট উৎসব। বিভিন্ন রাজ্য থেকে দিওয়ালি ও ছট উপলক্ষে বাড়ি ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। আর তাদের ভিড়ের ঠেলা সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছে ভারতীয় রেল। বড় বড় স্টেশনগুলিতে থিকথিকে ভিড়। দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে তিল ধারণের জায়গাটুকুও নেই। বহু যাত্রীদের কাছেই কনফার্ম টিকিট থাকা সত্ত্বেও তারা ট্রেনেই উঠতে পারছেন না। যারা কোনওমতে উঠছেন, তারাও অভিযোগ করছেন যে শোওয়া তো দূর, নিজের সিটে বসার জায়গাটুকুও পাচ্ছেন না। বিভিন্ন রাজ্যে একই চিত্র। অত্যাধিক ভিড় ও বিনা টিকিটের যাত্রীদের কারণে চরম সমালোচনার মুখে ভারতীয় রেলওয়ে।
দিওয়ালীতেই দেখা গিয়েছে গুজরাটের সুরাট, ভাদোদরার মতো স্টেশনগুলির ভয়ঙ্কর হাল। ঘাড়ে ব্যাগ চাপিয়ে যেভাবে হাজার হাজার মানুষ ট্রেনের কামরায় চাপছিলেন, তা রীতিমতো ভয় ধরানোর মতো। সুরাট স্টেশনে ভিড়ের ঠেলায় এক ব্যক্তির পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুও হয়। গুরুতর জখম হন আরও বেশ কয়েকজন।
वंदे भारत ट्रेन की बहुत लोग फ़ोटो डालते है, मैंने सोचा मैं असली भारत की ट्रेन की वीडियो डाल दूं। pic.twitter.com/QKHWJJWKAI
— Hansraj Meena (@HansrajMeena) November 13, 2023
দিওয়ালীর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ছট উৎসবে বাড়ি ফেরার হিড়িক পড়েছে। আর তার জেরেই উপচে পড়া ভিড় ট্রেনে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে ভিড় ট্রেনে চেপে ভ্রমণ করতে হচ্ছে যাত্রীদের। অনেকে আবার ট্রেনে ওঠার সুযোগটুকুও পাননি ভিড়ের ঠেলায়। এমনই একটি ভিডিয়ো নজর কেড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ভিড়ে গিজগিজ করা ট্রেনের ভিতরে কীভাবে নিজেকে সেঁধিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন এক ব্যক্তি।
ভাইরাল ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, ট্রেনের কামরার দরজা অবধি গিজগিজে ভিড়। হাতল ধরে আরও কমপক্ষে ১০ জন ট্রেনের ভিতরে ওঠার চেষ্টা করছেন। এরমধ্যে এক ব্যক্তি ট্রেনের ভিতরে ঢুকতে হাতলের বদলে সোজা ট্রেনের দরজার উপর আঁকড়ে ধরে রয়েছেন। শরীর ভাজ করে, বাকি যাত্রীদের মাথা, ঘাড়ে পা দিয়ে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন তিনি। কিন্তু বাকি যাত্রীরাও তাঁর মতোই নাছোড়বান্দা। পা দুটো ধরে বারবার বাইরে বের করে দিচ্ছেন।
বেশ কয়েকবারের চেষ্টার পরও সফল না হওয়ায়, অবশেষে হাল ছেড়ে দেন ওই ব্যক্তি। বাকি যাত্রীরা তখন তাঁর কেরামতি দেখে হেসেই কুটোপাটি খাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, দিওয়ালী ও ছট পুজোয় অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে ভারতীয় রেলওয়ের তরফে একাধিক বিশেষ ট্রেন চালানো হচ্ছে। একাধিক ট্রেনের শিডিউলেও বদল আনা হয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরও যাত্রী সংখ্যার তুলনায় পর্যাপ্ত ট্রেন থাকছে না। ফলে দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে উপচে পড়া ভিড় লেগেই থাকছে।