Modi in Lepcha: সেনারা যেখানে থাকেন, আমার জন্য সেই জায়গাই মন্দির: প্রধানমন্ত্রী মোদী

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Nov 12, 2023 | 3:20 PM

PM Modi in Lepcha: প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, ২০১৪ সালের দীপাবলি উদযাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী গিয়েছিলেন সিয়াচেনের সেনা ঘাঁটিতে। তারপর থেকে প্রতি বছর, কখনও হিমাচল সুমদোয়, কখনও জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি বা নওশেরার সেনা ঘাঁটিতে দীপাবলি উদযাপন করেছেন তিনি। তবে, এদিন তিনি জানিয়েছেন, দীপাবলিটা সীমান্ত এলাকার সেনা ঘাঁটিতে কাটানো তাঁর নতুন অভ্যাস নয়। গত ৩০-৩৫ বছর ধরেই তিনি এটা করে আসছেন।

Modi in Lepcha: সেনারা যেখানে থাকেন, আমার জন্য সেই জায়গাই মন্দির: প্রধানমন্ত্রী মোদী
হিমাচলের লেপচায় সেনাদের সামনে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Image Credit source: PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: যেখানে ভারতীয় সেনার জওয়ানরা থাকেন, তাঁর কাছে সেটাই অযোধ্যা, অর্থাৎ রাম জন্মভূমি। রবিবার (১২ নভেম্বর) দীপৈাবলির দিন, ভারতীয় সেনা কর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রতি বছরই তিনি দীপাবলির দিনটা ভারতীয় সেনার জওানদের সঙ্গে কাটান। এবারও সেই রীতি মেনে তিনি হিমাচল প্রদেশের লেপচায় অবস্থিত সেনা ঘাঁটিতে দীপাবলি উদযাপন করছেন। এদিন সেনাদের সামনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি প্রতি বছর আমাদের সেনা কর্মীদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করি। কথায় বলে, যেখানে ভগবান রাম থাকেন, সেই জায়গাই হল অযোধ্যা। আমার কাছে, ভারতীয় সেনা কর্মীরা যেখানে থাকেন, সেই জায়গা কোনও মন্দিরের থেকে কম কিছু নয়।”

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, ২০১৪ সালের দীপাবলি উদযাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী গিয়েছিলেন সিয়াচেনের সেনা ঘাঁটিতে। তারপর থেকে প্রতি বছর, কখনও হিমাচল সুমদোয়, কখনও জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি বা নওশেরার সেনা ঘাঁটিতে দীপাবলি উদযাপন করেছেন তিনি। তবে, এদিন তিনি জানিয়েছেন, দীপাবলিটা সীমান্ত এলাকার সেনা ঘাঁটিতে কাটানো তাঁর নতুন অভ্যাস নয়। গত ৩০-৩৫ বছর ধরেই তিনি এটা করে আসছেন। তিনি বলেন, “গত ৩০-৩৫ বছর ধরে, তখনও আমার এমন কোনও দীপাবলি কাটেনি, যখন আমি আপনাদের (সেনাদের) মধ্যে ছিলাম না। এমনকি যখন আমি প্রধানমন্ত্রী বা গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীও ছিলাম না, তখনও আমি দীপাবলির উত্সব উদযাপন করতে কোনও না কোনও সীমান্ত এলাকায় যেতাম।”

তিনি আরও জানান, সীমান্তে হিমালয়ের মতো জওয়ানরা প্রহরায় আছেন বলেই, দেশ সুরক্ষিত থাকে। দেশ গঠনে সেনাদের অবদানের কথা তুলে ধরেন তিনি। স্বাধীনতার পর, একের পর এক যুদ্ধ তাঁরা অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে লড়েছেন এবং কোটি কোটি ভারতবাসীর হৃদয় জিতে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক শান্তি অভিযানে অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের ভাবমূর্তি ঊজ্জ্বল করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত দ্রুত এক আন্তর্জাতিক শক্তি হিসেবে উঠে আসছে। শুধু নিজের নয়, বর্তমানে মিত্র দেশগুলির প্রতিরক্ষা চাহিদা পূরণও করছে ভারত। ২০১৬ সালের দীপাবলির সময় থেকে ভারতের প্রতিরক্ষা রফতানি ৮ গুণ বেড়েছে বলে দাবি করেন তিনি। মোদী আরও জানান, বর্তমানে দেশেই ১ লক্ষ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি হচ্ছে।

Next Article