ভুবনেশ্বর: দুর্ঘটনার খবর পেলেও ট্রেন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি বহু যাত্রীর পরিবার। তবে আপ ও ডাউন লাইনে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ায় সেই সব পরিবারের সদস্যরা ভুবনেশ্বরের দিকে রওনা হয়েছেন। তবে কোন হাসপাতালে তাঁদের আহত আত্মীয়রা রয়েছেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আহত যাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১১০০, যার মধ্যে ১৬০ জন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বেশিরভাগ আহত যাত্রীই কটক মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি আছেন বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়া রেলের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ভুবনেশ্বরের ছয় হাসপাতালে রয়েছে সব মৃতদেহ। ২৭৮ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত। তার মধ্যে ৮০ জনের দেহ শনাক্ত হয়নি। এইমসে মোট ১২৩ জনের দেহ ছিল। তার মধ্যে ৭১টি হস্তান্তর করা হয়েছে অর্থাৎ তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ৫২টি দেহ শনাক্ত করা যায়নি।
তবে এইমসের চিকিৎসকদের অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, একেকটি দেহের তিনজন করে দাবিদার আসছে। ক্ষতিপূরণ পেতেই এমন দাবি করা হচ্ছে বলে সন্দেহ এইমসের চিকিৎসকদের। বাকি পাঁচ হাসপাতাল থেকে সব দেহ ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে আসা হবে বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু হতে চলেছে সেই প্রক্রিয়া। ৪০টি দেহ চলে ভুবনেশ্বরে নিয়ে আসা হবে রাতেই।
এইমসের তরফে আরও জানানো হয়েছে, মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষা দ্রুত শেষ করতে দিল্লিতে পাঠানো হচ্ছে নমুনা। বুধবার সকালে দিল্লির ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে সংগৃহীত নমুনা পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, ভুবনেশ্বর এইমসে যে কন্টেনার এনে দেহ সংরক্ষণ করা হচ্ছে, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত বলেই দাবি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরী জানিয়েছেন, বুধবার বিকেল শালিমার থেকে চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়েই ওই ট্রেন ছাড়বে বলে জানিয়েছেন মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক। গত শুক্রবার এই শালিমার থেকে রওনা হওয়ার পরই ওড়িশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস।