নয়া দিল্লি: বালেশ্বরের দুর্ঘটনা (Balasore Train Accident) নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। পাশাপাশি রেল মন্ত্রকও তদন্ত করছে। আর সেই তদন্তের রিপোর্টেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্য়কর তথ্য। কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি(Commissioner of Railway Safety)-র তৈরি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ভুল সিগন্যালিংয়ের কারণেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার মুখে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express)। মূলত সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের বিভিন্ন ভুলের জন্য মেইন লাইনের বদলে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস।
গত ২ জুন রাতে ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানগা স্টেশনের কিছুটা দূরে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখে পড়ে হাওড়া থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মেইন লাইন ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও, ভুলবশত লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ওই লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল মালগাড়ি। মুখোমুখি সংঘর্ষে মালগাড়ির উপরে উঠে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন সহ কয়েকটি কামরা। লাইনচ্যুত হয় ২২টি কামরা। পাশের ডাউন লাইন দিয়ে আসছিল যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনের শেষভাগের সঙ্গেও ধাক্কা লাগে। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ২৮০ জন যাত্রী, আহত হন কয়েক হাজার।
কমিশনার অব রেলওয়ের তরফে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্ত করে যে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ভুল সিগন্যালিংয়ের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। জানানো হয়েছে, লেভেল ক্রসিং গেট ৯৪ ইলেকট্রিক লিফট ব্যারিয়ার বদলের কাজ চলছিল। সেই সময় সার্কিটটি সঠিকভাবে কাজ করছিল না। সেই কারণেই ভুল ওয়্যারিং বা তারের সমস্যা হয়েছিল।
ফিল্ড সুপারভাইজারের দায়িত্ব থাকে ওয়্যারিং ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। কিন্তু তিনি সেই দায়িত্বও সঠিকভাবে পালন করেননি বলেই উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
সিআরএসের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে গত ১৬ মে ২০২২ সালেও খড়্গপুর রেল বিভাগের অধীনে বাকরানবায়জ রেলওয়ে স্টেশনে ভুল ওয়্যারিংয়ের কারণে ছোট দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সিআরএসের তরফে জানানো হয়েছে, ভুল তারের ওয়্যারিংয়ের ইস্যু নিয়ে যদি আগেই সতর্কতা অবলম্বন করা হত, তাহলে বালেশ্বরের মতো ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটত না।