Bariatric Surgery: ১৫০ কেজি থেকে ৭৮ কেজি, এক বেলাতেই রোগা হতে পারেন আপনিও
Weight Loss: কানুপ্রিয়া সংবাদমাধ্যমে নিজেই তাঁর এই জার্নির কথা জানাতে চেয়েছেন। তাঁর কথায়, অনেকে মনে করেন, ওজন কমানোর জন্য এই বেরিয়াট্রিক সার্জারি বোধহয় খুব সহজ একটা পথ। তেমনটা একেবারেই নয়। যিনি এই সার্জারি করান, তাঁকেও অনেক কিছু মেনে চলতে হয়। খাবারে কোনও বারণ নেই। কিন্তু বেশি খাওয়া যাবে না। তাতে আবার বদহজম হতে পারে।
গুরুগ্রাম: ওজন বাড়লে শরীর তো হাসফাঁস করবেই। সঙ্গে হাজার রোগ। হাইপারটেনশন, স্লিপ অ্যাপনিয়া তো অবধারিত। পিছু ছাড়ে না ডায়াবেটিসও। সবরকম চেষ্টা করেও যখন ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা যায় না, তখন অনেকেই ঝোঁকেন বেরিয়াট্রিক সার্জারির দিকে। গুরুগ্রামের বছর ২৪-এর কানুপ্রিয়া চাওলা। তিনিও এই সার্জারি করিয়েছেন। তাঁর ওজন ছিল ১৫০ কেজি। এখন তিনি ৭৮-এ দাঁড়িয়ে।
নানারকম ডায়েট, নিয়ম করে ওয়ার্কআউট করেও কোনওভাবেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না কানুপ্রিয়া। এমনকী শ্বাসপ্রশ্বাসেও সমস্যা হতে শুরু করে একটা সময়। ৬ মাসে ২৫ কেজি ওজন বেড়ে যায় তাঁর। ডাক্তারও সতর্ক করেন। এরপরই বেরিয়াট্রিক সার্জারির করানোর কথা ভাবেন তিনি।
তবে কানুপ্রিয়াকে নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে সে সময়। বেরিয়াট্রিক সার্জারি মানে ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমে পাকস্থলির কিছুটা অংশ কেটে বাদ দিয়ে প্রথমে খাদ্য ধারণ ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া হয়। মূলত ক্ষুধা হরমোন বের করে দেওয়া হয় এই স্লিভ গ্যাসট্রেকমি পদ্ধতির মাধ্যমে। কানুপ্রিয়া আবার গ্যাসট্রিক বাইপাস করিয়েছিলেন।
স্লিভ গ্যাসট্রেকমি করালে নিয়ম করে শরীরচর্চা ও ডায়েটের মাধ্যমে একেবারে ফিট থাকা যায়। গ্যাসট্রিক বাইপাসে আবার ওজন তাড়াতাড়ি কমে যায়, ভবিষ্যতেও মোটা হওয়ার সম্ভাবনা কম হয়। কিন্তু সমস্যা হল, যিনি এই পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যান তাঁর হজমে সমস্যা হলেও হতে পারে। কানুপ্রিয়া প্রথম দিয়ে লিকুয়িড ডায়েটে থাকতেন।
কানুপ্রিয়া সংবাদমাধ্যমে নিজেই তাঁর এই জার্নির কথা জানাতে চেয়েছেন। তাঁর কথায়, অনেকে মনে করেন, ওজন কমানোর জন্য এই বেরিয়াট্রিক সার্জারি বোধহয় খুব সহজ একটা পথ। তেমনটা একেবারেই নয়। যিনি এই সার্জারি করান, তাঁকেও অনেক কিছু মেনে চলতে হয়। খাবারে কোনও বারণ নেই। কিন্তু বেশি খাওয়া যাবে না। তাতে আবার বদহজম হতে পারে। অতিরিক্ত মশলাখাবার, তেলঝাল এড়িয়ে গেলেই ভাল হয়।
ওবেসিটি, বেরিয়াট্রিক সার্জারি বিশেষজ্ঞরা বলেন, বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। সেটা না মিললে এ সার্জারি করা মুশকিল। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সার্জারি করার আগে ভালভাবে বুঝে নিতে হবে, সার্জারির পর যাপনচিত্রটা ঠিক কেমন হবে। কারণ, সেটার সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারলে তবেই কেউ এই সার্জারির যোগ্য। অবশ্যই এরকম কোনও সার্জারি করাতে চাইলে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যাবশ্যক।