Maldah: লাভলিতে ‘অস্বস্তি’ তৃণমূলের, TV9 বাংলার খবরের জেরে তদন্তে শাসকদল
Maldah: ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন লাভলি। জয়ের পর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানও হয়ে যান। লাভলির কাছে যিনি পরাজিত হন, সেই রেহানা সুলতানা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। লাভলি যে বাংলাদেশি, সেই প্রমাণ রয়েছে বলে জানান।
মালদহ: তিনি ভারতীয়ই নন। বাংলাদেশের বাসিন্দা। ভুয়ো নাম, নথি ভাঁড়িয়ে ভারতে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, মালদহের একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানও হয়ে রয়েছেন। টিভি৯ বাংলার এই খবরের জেরে এবার নড়েচড়ে বসল রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল প্রধান লাভলি খাতুন কীভাবে রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হলেন, এবার তা খতিয়ে দেখছে তারা। যাবতীয় তথ্য সহ রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূলের রাজ্য কমিটি। শুধু তাই নয়, জেলার এক মন্ত্রী, দুই বিধায়ককের কাছে এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই জানতে চেয়েছে দল। একইসঙ্গে এলাকায় দলের পদাধিকারীদের কাছেও জানতে চাওয়া হয়েছে, কার মদতে একজন বাংলাদেশি নাগরিক এভাবে প্রধান হলেন।
জানা গিয়েছে, লাভলির আসল নাম নাসিয়া শেখ। অভিযোগ, পাসপোর্ট ছাড়াই অবৈধভাবে তিনি ভারতে ঢোকেন। তারপর নিজের পূর্ব পরিচয় মিটিয়ে ফেলেন। বাবার নামও বদলান। ২০১৫ সালে ভারতে তাঁর ভোটার কার্ড ইস্যু হয়। ২০১৮ সালে ইস্যু হয় বার্থ সার্টিফিকেট। জানা গিয়েছে, নথিতে নাসিয়ার বাবার নাম ছিল শেখ মুস্তাফা। কিন্তু অভিযোগ, লাভলির বাবার নাম শেখ মুস্তাফা নয়। আসল নাম জামিল বিশ্বাস।
২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন লাভলি। জয়ের পর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানও হয়ে যান। লাভলির কাছে যিনি পরাজিত হন, সেই রেহানা সুলতানা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। লাভলি যে বাংলাদেশি, সেই প্রমাণ রয়েছে বলে জানান।
এই খবরটিও পড়ুন
লাভলির পরিচয় নিয়ে হইচই শুরু হতেই নড়েচড়ে বসেছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা সহসভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “লাভলি খাতুনের বিষয়টি দল দেখছে। প্রশাসন তদন্ত করছে। দোষী হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” একইসঙ্গে তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, বাম আমলে সব থেকে বেশি অনুপ্রবেশকারী মালদায় এসেছে। অনেক এক্সপোর্টার, ব্যবসায়ী আছেন, যাঁদের তিনি চেনেন, তাঁরা বাংলাদেশি।
অন্যদিকে, লাভলি খাতুনের বিরুদ্ধে এবার কোমর বেঁধে নামল বিজেপি। তিনি যে বাংলাদেশি, এমন তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে রিপোর্ট তৈরি করছে নিজেপি। পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। বিজেপির উত্তর মালদার সহসভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার পরিস্থিতি খুব খারাপ। বারুদের স্তূপ হয়ে রয়েছে।”