Malda: ছেলের তো গুণের শেষ নেই! জীবিত বাবা-কাকা-জ্যেঠুকেই ‘মৃত’ বলে সম্পত্তি বিক্রির তাল! অবশেষে পর্দা-ফাঁস
Malda: মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার বাসিন্দা পীযূষকান্তি রায়, তুষার কান্তি রায় এবং শিশির কান্তি রায়। তাঁরা সম্পর্কে একে অপরের ভাই। তঁরা প্রত্যেকেই বেঁচে আছেন।
মালদহ: জীবিত বাবা, কাকু, জেঠুকে মৃত বানিয়ে জালিয়াতির চেষ্টা! ভুয়ো ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ বের করে সব সম্পত্তির মালিকানা নিজের নামে করে কোটি কোটি টাকায় বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন এক যুবক। তবে ফাঁস হয়ে গেল পর্দা। খোদ ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক অভিযোগ দায়ের করলেন।
শুনানির সময় ভূমি সংস্কার দফতরেই পর্দা ফাঁস হয়ে যায়। ভুয়ো তথ্য দিয়ে বার্থ সাটিফিকেট, ডেথ সার্টিফিকেট করে নেওয়া যে এই রাজ্যে খুব সহজসাধ্য তা আবারও প্রমাণিত হল। অভিযোগ, সমস্ত জালিয়াতিতে সাহায্য করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। বিতর্কের উত্তাপ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার বাসিন্দা পীযূষকান্তি রায়, তুষার কান্তি রায় এবং শিশির কান্তি রায়। তাঁরা সম্পর্কে একে অপরের ভাই। তঁরা প্রত্যেকেই বেঁচে আছেন। এই তিনজনের মালিকানায় রয়েছে দেড় বিঘা জমি। সেই জমির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় কোটি টাকা। আর সেই জমি নিয়েই জালিয়াতির চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
তুষারকান্তি রায়ের গুণধর ছেলে তুহিনকান্তি রায়। বাবা, কাকা, জ্য়েঠুকে মৃত বলে দেখিয়ে জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে তুহিনের বিরুদ্ধে। ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করিয়ে নেয়। সেই সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর রয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা বর্ষা দাসের। সেখানেই বর্ষার ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তবে তুহিনকান্তি রায় যে বুথের বা এলাকার বাসিন্দা সেই বুথের বা এলাকার সদস্যা নন এই বর্ষা। তারপরও তিনি কীভাবে সই করলেন তিনি?
পঞ্চায়েত প্রধানকে ভুল বুঝিয়ে তিনি সেই সার্টিফিকেটে সই করান। এদিকে জমি বিক্রির জন্য ভূমি সংস্কার দফতরে ওয়ারিস সার্টিফিকেটও তুলে নেন তিনি। কিন্তু শুনানির সময় হয় পর্দা ফাঁস। ধরা পড়ে যায় জালিয়াতি। তারপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক উদয় শঙ্কর ভট্টাচার্য এই নিয়ে বিডিও এবং জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্যদিকে ওই ‘গুণধর ছেলে’ এবং তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করেননি।
ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যুর কথা শিশির কান্তি রায় মেনে নিলেও ছেলের কীর্তি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তিনি। কংগ্রেসের দাবি তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত সদস্যা মোটা টাকার বিনিময়ে এই জালিয়াতিতে সহায়তা করেছেন। পাল্টা তৃণমূলের দাবি যেহেতু হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম জোট পরিচালিত, তাই দায়ভার তাদের নিতে হবে।