AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Maldah: ভোটে লড়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান হয়ে গেলেন বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী! প্রকাশ্যে ভয়ঙ্কর তথ্য

Maldah: আইনজীবী অম্লান ভাদুড়ি জানান, লাভলির কাছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যিনি পরাজিত হয়েছিলেন, রেহানা সুলতানা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। বিচারপতি চাঁচলের এসডিও-কে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। আইনজীবী জানান, নাসিয়া যে বাংলাদেশি, তার প্রমাণ রয়েছে।

Maldah: ভোটে লড়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান হয়ে গেলেন বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী! প্রকাশ্যে ভয়ঙ্কর তথ্য
অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 30, 2024 | 12:45 PM
Share

মালদহ: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী কি তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান? ভুয়ো নাম নথি ভাঁড়িয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার অভিযোগ। TV9 বাংলার হাতে এল বিস্ফোরক তথ্য। বিতর্কেরং কেন্দ্রে মালদহের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাভলি খাতুন।

জানা যাচ্ছে, লাভলির আসল নাম নাসিয়া শেখ। বাড়ি বাংলাদেশে। অভিযোগ, পাসপোর্ট ছাড়াই অবৈধভাবে তিনি ভারতে ঢোকেন। তারপর নিজের পূর্ব পরিচয় সবটাই মিটিয়ে ফেলেন। বাবার নামও বদলে ফেলেন। ২০১৫ সালে ভারতে তাঁর ভোটার কার্ড ইস্যু হয়। ২০১৮ সালে ইস্যু হয় বার্থ সার্টিফিকেট। জানা গিয়েছে, নথিতে নাসিয়ার বাবার নাম ছিল শেখ মুস্তাফা। কিন্তু অভিযোগ, লাভলির বাবার নাম শেখ মুস্তাফা নয়। আসল নাম জামিল বিশ্বাস। এমনকি ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রারেও শেখ মুস্তাফার পরিবারের লাভলির কোনও অস্তিত্ব নেই। শেখ মুস্তাফা মিথ্যা বাবা সাজিয়ে সরকারি দস্তাবেজ তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ।  পিছনে কি রয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরের দাপুটে তৃণমূল নেতাদের মদত? ওপার থেকে এসে এপারের ভোটে লড়াই! তাও কেবল নিজেকে ভারতের নাগরিক প্রমাণ নয়, ভোটে দাঁড়িয়ে লড়াইও করলেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কীভাবে?

আইনজীবী অম্লান ভাদুড়ি জানান, লাভলির কাছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যিনি পরাজিত হয়েছিলেন, রেহানা সুলতানা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। বিচারপতি চাঁচলের এসডিও-কে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। আইনজীবী জানান, নাসিয়া যে বাংলাদেশি, তার প্রমাণ রয়েছে। ওবিসি সার্টিফিকেটটাও যে জাল, তারও প্রমাণ রয়েছে।  এসডিও-এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। লাভলির মিথ্যা বাবা শেখ মুস্তাফাকে হাইকোর্টে তলবও করা হয়। কিন্তু বারবার ডাকা সত্ত্বেও তিনি হাজিরা দেননি। তারপর থেকে ৬ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত প্রধানের পদেই নাসিয়া।

নাসিয়া যে গ্রামের মেয়ে নন, তা স্বীকারও করে নিয়েছেন সাক্ষী। রিয়াজ আলম নামে এক সাক্ষী স্বীকার করে নিলেন, “নাসিয়া আমাদের গ্রামের মেয়ে নন। কাগজ কীভাবে জোগাড় করেছেন, আমরা জানি না। আমাদের বিডিও অফিসে ডেকেছিল। নোটিস এসেছিল। সবই ডুপ্লিকেট সাইন রয়েছে।” বিস্ফোরক দাবি করেন সাক্ষী। শেখ মুস্তাফার মেয়ে যে লাভলি নন, তাও মেনে নেন তিনি। বলেন, “মুস্তাফাকে বাবা বানিয়েছেন। মুস্তাফার যে মেয়ে লাভলি নন, তা পুরো গ্রাম জানে। মুস্তাফার এক মেয়ে, দুই ছেলে।”

এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান নাসিয়া ওরফে লাভলিকে ফোন করা হয়েছিল। তিনি ফোন ধরেই প্রশ্ন এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, ‘পরে কথা বলছি।’