Chinmoy Krishna Das: জঙ্গির জামিন হলেও মুক্তি নেই চিন্ময়ের! ফের কারাগারেই আটকে রাখল ‘ইউনূসের আদালত’
Chinmoy Krishna Das: বিশ বাঁও জলে চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন আর্জি। চট্টগ্রাম দায়রা আদালতে ছিল শুনানি। হিন্দুনেতার আবেদন খারিজ বিচারক।
ঢাকা: নতুন বছরেও জামিন অধরা বাংলাদেশি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর। এদিন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতে চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই হিন্দুনেতার জামিন আর্জিকে খারিজ করেন বিচারক। ফলত, বিশ বাঁও জলে পড়ে চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন মামলা।
বাংলাদেশি হিন্দুনেতার প্রথম আইনজীবী শুভাশিস শর্মা গ্রেফতারি এড়াতে আত্মগোপন করেছেন অনেকদিন। অন্য দিকে, এসএসকেএম হাসপাতালে বুকে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন আরেক আইনজীবী রবীন্দ্র দাস। তবে তাদের অনুপস্থিতিতেও থেমে নেই চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের প্রচেষ্টা।
এদিন চিন্ময় মামলার দুই প্রধান আইনজীবীর অনুপস্থিতিতে আইনজীবী অপূর্বকুমার ভট্টাচার্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে ১১ জন আইনজীবীর একটি দল নিয়ে গিয়ে চিন্ময়কৃষ্ণে প্রভুর পক্ষে আদালতে জামিন মামলায় সওয়াল করে। কিন্তু সম্মিলিত উদ্যোগেও মিলল না রেহাই। হিন্দুনেতার জামিন আর্জিকে খারিজ করল চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো.সাইফুল ইসলাম। নেপথ্যে যুক্তি দিলেন, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা জামিন অযোগ্য বলে।
উল্লেখ্য,বাংলাদেশে পালাবদলের পর থেকেই একটা ‘সন্ত্রাসের আবহ’ তৈরি হয়েছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে বড় বড় জঙ্গি নেতাদের জামিন মঞ্জুর করেছে ‘ইউনূসের আদালত’। কিন্তু এবার সেই আদালতেই জামিন মামলা খারিজ হল সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর।
দিনকয়েক আগেই জামিন পেয়েছে ২০০৪ সালের গ্রেনেড হত্যা মামলার ফাঁসির আসামী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু। তার আগেই এই একই মামলায় জামিন পেয়েছিলেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুধু তা-ই নয়, ইউনূসের আমলে ফাঁসির সাজা মকুব হয় খোদ উলফা প্রধান জঙ্গি পরেশ বড়ুয়ার। ব্লগার রাজীব হায়দার খুনের মামলায় জামিন পায় আনসারুল্লা বাংলা টিমের মাথা জসিমউদ্দিন রহমানি। কিন্তু এত এত জঙ্গিনেতাদের ছাড় দিলেও, সামান্য হিন্দু সন্ন্যাসীতে এত ভয় ইউনূসের? প্রশ্ন তুলছে একাংশ।
গত বছরের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের বিমানবন্দর থেকে এই সন্ন্যাসীকে গ্রেফতার করা হয়। বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোটের মুখপাত্র তিনি। বরাবরই বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর চলা ‘সন্ত্রাস’ ও তাদের অধিকার নিয়ে সরব হতে দেখা যায় চিন্ময়কৃষ্ণকে। ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশে শুরু হওয়া হিন্দু নিধন নিয়েও সরব হয়েছিলেন তিনি। উল্টে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ আনে ইউনূস সরকার।