Atul Subhash: ‘আমার মৃতদেহ যেন না ছোঁয়…’, ৪ বছরের ছেলের জন্য গাড়ি কেনার টাকা জমাচ্ছিলেন, কী এমন হল যে সুইসাইড লেটারে লিখতে হল এ কথা?

Suicide: ২৪ পাতার ওই সুইসাইড লেটারে স্ত্রীর বিরুদ্ধে যেমন অভিযোগ এনেছেন, তেমনই চার বছরের সন্তানের জন্য লিখে গিয়েছেন, "একদিন তুমি বড় হবে। বুঝতে শিখবে। যখন আমি প্রথম তোমায় দেখেছিলাম, তখন মনে হয়েছিল তোমার জন্য যেকোনও দিন প্রাণ দিতে পারি। কিন্তু আমি তোমার জন্য নিজের প্রাণ নিচ্ছি।"

Atul Subhash: 'আমার মৃতদেহ যেন না ছোঁয়...', ৪ বছরের ছেলের জন্য গাড়ি কেনার টাকা জমাচ্ছিলেন, কী এমন হল যে সুইসাইড লেটারে লিখতে হল এ কথা?
অতুল সুভাষ।Image Credit source: X
Follow Us:
| Updated on: Dec 12, 2024 | 9:55 AM

বেঙ্গালুরু: বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তিবিদের আত্মহত্যা ঘিরে তোলপাড় দেশ। ২৪ পাতার সুইসাইড লেটার লিখে গিয়েছেন, যেখানে স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত মানসিক অত্যাচার, নিগ্রহের অভিযোগ এনেছেন। একইসঙ্গে বুক ভরা আক্ষেপ রেখে গিয়েছেন কোলের ছেলের জন্য।

সোমবার সকালে অতুল সুভাষ নামক এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁর ঘরে রাখা ছিল ‘জাস্টিস ইজ ডিউ’ (বিচার এখনও বাকি) প্ল্যাকার্ড ও ২৪ পাতার সুইসাইড লেটার। ওই চিঠিতে স্ত্রী নিকিতা সিঙ্ঘানিয়া, শাশুড়ি নিশা সিঙ্ঘানিয়া, শ্যালক অনুরাগ সিঙ্ঘানিয়া ও স্ত্রীর কাকা সুশীল সিঙ্ঘানিয়ার নাম লিখে যান আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার জন্য। স্ত্রীর প্রতি বিষোদগার করে অতুল এও লিখে যান যে তাঁর মৃত্যুর পর স্ত্রী বা তার পরিবারের কেউ যেন তাঁর দেহ স্পর্শ না করে। মৃতদেহের কাছেও না আসে।

২৪ পাতার ওই সুইসাইড লেটারে স্ত্রীর বিরুদ্ধে যেমন অভিযোগ এনেছেন, তেমনই চার বছরের সন্তানের জন্য লিখে গিয়েছেন, “একদিন তুমি বড় হবে। বুঝতে শিখবে। যখন আমি প্রথম তোমায় দেখেছিলাম, তখন মনে হয়েছিল তোমার জন্য যেকোনও দিন প্রাণ দিতে পারি। কিন্তু আমি তোমার জন্য নিজের প্রাণ নিচ্ছি। এখন তোমার ১ বছরের ছবি না দেখলে, তোমার মুখও মনে পড়ে না। তোমার জন্য কষ্ট ছাড়া আর কিছুই অনুভব হয়না। তোমায় শুধু ব্ল্যাকমেইল করার জন্য ব্যবহার করা হয়। তোমার কষ্ট হলেও, সত্যিটা হল তোমায় আমার ভুল বলেই মনে হয়।”

কেন কোলের ছেলের জন্য এমন কথা লিখেছিলেন অতুল? বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকে সন্তান স্ত্রীর কাছেই থাকত। অতুল সুইসাইড লেটারে অভিযোগ করেছে যে তাঁর স্ত্রী ও পরিবার ছেলের নাম করে তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করত। আদালত স্ত্রী ও সন্তানের খোরপোশের জন্য ৮০ হাজার টাকা দিতে বললেও, স্ত্রী ২ লাখ টাকা দাবি করত। অতুল সেই আক্ষেপই প্রকাশ করে লিখেছিল, “যতক্ষণ আমি বেঁচে আছি এবং টাকা উপার্জন করছি, ততক্ষণই আমার দরকাপ। ওরা তোমায় ব্যবহার করে আমার থেকে টাকা আদায় করার জন্য। আমি এভাবে আমার বাবা-মা ও ভাইকে হেনস্থা হতে দিতে পারিনা। তোমার মতো ১০০ সন্তানকে ত্যাগ করতে পারি আমার বাবার জন্য। ১০০০টা আমাকে ত্যাগ করতে পারি তোমার জন্য়।”

ছেলের জন্য অতুল আরও লিখে গিয়েছিলেন, “সমাজকে বিশ্বাস করো না। ব্যবস্থাকে বিশ্বাস করো না। যদি আমার রক্ত থাকে তোমার শরীরে, তবে তুমি লড়বে এবং মন-প্রাণ দিয়ে ভালবাসবে, সুন্দর জিনিস তৈরি করবে এবং সমস্যাকে শেষ করবে।”