বোকারো: নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক আক্রমণের পারদ তত চড়ছে ঝাড়খণ্ডে। দিন কয়েক আগে নির্বাচনী প্রচারে এসে জেএমএম, কংগ্রেস ও আরজেডির জোটকে ‘অনুপ্রবেশকারীদের জোট’ বলে আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর রবিবার বোকারোতে সেই আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ালেন। জেএমএম, কংগ্রেস ও আরজেডির জোট ওবিসি শ্রেণিভুক্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগানোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন বোকারোতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ভিড় উপচে পড়েছিল। সেই জনসভা থেকে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন মোদী। কংগ্রেস, জেএমএম-র জোট নিয়ে জনতাকে সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস, জেএমএম-র অসৎ উদ্দেশ্য ও ষড়যন্ত্র নিয়ে সতর্ক থাকুন। ক্ষমতা দখলে তারা যতদূর খুশি যেতে পারে।” পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের উন্নয়নে কংগ্রেস কিছু করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে এসসি, এসটি এবং ওবিসি-র ঐক্যের বিরোধিতা করে এসেছে কংগ্রেস। যতদিন পর্যন্ত এসসি, এসটি ও ওবিসি-র মধ্যে ঐক্য ছিল না, ততদিন কেন্দ্রে সরকার গঠন করেছে কংগ্রেস আর দেশকে লুঠ করেছে।”
ওবিসি শ্রেণিভুক্ত সম্প্রদায়গুলিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ছোটনাগপুর অঞ্চলে ওবিসি-র মধ্যে ১২৫-র বেশি সাব-কাস্ট রয়েছে। সেই সাব-কাস্টদের মধ্যে বিরোধ বাধিয়ে ঐক্য ভেঙে দিতে চাইছে জেএমএম ও কংগ্রেস। কিন্তু, আপনারা যদি এক থাকেন, তাহলে সুরক্ষিত থাকবেন।”
গতকাল ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। হেমন্ত সোরেনের সরকারের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য লাল কার্পেট বিছিয়ে রেখেছে জেএমএম সরকার। অনুপ্রবেশকারীরা এখানকার আদিবাসীদের জমি দখল করে নিচ্ছে।” ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটকে সরকারে আনার আহ্বান জানান তিনি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর গলায় এসসি-এসটি ও ওবিসি সম্প্রদায়ের ঐক্যের কথা শোনা গেল।
ঝাড়খণ্ডে নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, জেএমএম-কংগ্রেসকে আক্রমণ তত বাড়াচ্ছে বিজেপি। ঝাড়খণ্ডের ৮১টি বিধানসভা আসনে দু’দফায় নির্বাচন হবে। ১৩ ও ২০ নভেম্বর। ফল ঘোষণা হবে ২৩ নভেম্বর। কারা এই রাজ্যে সরকার গঠন করে, সেটাই এখন দেখার।