বিহার: লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি তেজস্বী যাদবের মতো তরুণ মুখকে সামনে রেখে বিহার ভোটে লড়েছিল। রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও তেজস্বীর তারুণ্যের তেজ যে ভালই কাজ করেছে, তার প্রমাণও মিলেছে। নির্বাচনের ফলাফলে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা দখলে রেখেছে তারা। তরুণ প্রজন্মকে তুলে না ধরলে দলীয় শক্তির শিকড়টা ক্রমেই আলগা হতে শুরু করে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাংলায় বাম জমানার অবসান তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। তাই এবার বিহারে তরুণ শক্তি বাড়াতেই নজর বিজেপির। সূত্র বলছে, এক ঝাঁক তরুণ মুখকে রাজ্য মন্ত্রিসভায় তুলে ধরতে চাইছে নরেন্দ্র মোদীর দল।
জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার বিহারের মসনদে বসলেও বিজেপি কিন্তু সে রাজ্যে নিজেদের একক ক্ষমতা ইতিমধ্যেই জাহির করেছে। এরই মধ্যে সূত্রের খবর, নীতীশের মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে এবার তরুণ প্রজন্মের হাতে ক্ষমতা দিতে চাইছে বিজেপি। লক্ষ্য দু’টো। এক, লালু, নীতীশদের রাজ্যে একচ্ছত্র ক্ষমতা কায়েমের পরিকাঠামো তৈরি। দুই, তরুণ মুখকে তুলে আনলে তেজস্বীদের সঙ্গে লড়াই হবে সমানে সমানে।
মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীকে রাজ্যসভায় ও বর্ষীয়ান নেতা বিজয় কুমার সিনহাকে বিধানসভার অধ্যক্ষ হিসাবে বসিয়েছে বিজেপি। একইসঙ্গে দলের স্তম্ভ ও প্রাক্তন মন্ত্রী নন্দ কিশোর যাদব, প্রেম কুমার, বিনোদ নারায়ণ ঝা, রামনারায়ণ মণ্ডল ও কৃষ্ণকুমার ঋষিকে বিধানসভা কমিটির মাথায় বসিয়েছে। এরকম ২২টি কমিটির সাতটিরই মাথায় বিজেপির বিধায়করা, পাঁচটিতে নীতীশের দলের লোক।
এবার শোনা যাচ্ছে, নীতীশ মিশ্র, নিতিন নবীণ, সঞ্জীব চৌরাসিয়া, সম্রাট চৌধুরীর মতো তরুণ তূর্কীদের রাজ্য রাজনীতিতে সামনের সারিতে তুলে আনতে চলেছে বিজেপি। ক্যাবিনেটে জায়গা পেতে চলেছেন তাঁরা। যদিও নীতীশ কুমার ইতিমধ্য়েই জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এরকম কোনও খবর নেই। তবে বিজেপির প্রবীণ বিধায়করা যখন কৃষক আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত, তাঁদের পক্ষে বিধানসভায় সবসময় নজর দেওয়া সম্ভব নয় বলেই দাবি তাঁর।
প্রশ্ন উঠছে, এনডিএ শরিক জেডিইউ’র তুলনায় বিধানসভায় কি তবে বিজেপির ক্ষমতা প্রকট হবে। বিজেপি নেতারা বলছেন, বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৪, জেডিইউ-এর হাতে ৫৩ জন। তাহলে সমতা আসবেই বা কী করে।