Himachal Pradesh: কমোড প্রতি দিতে হবে অতিরিক্ত কর! হিমাচলে কুস্তি কংগ্রেস-বিজেপির

Himachal Pradesh toilet seat tax: সম্প্রতি হিমাচল সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। পয়ঃনিষ্কাশন এবং জলের বিল সম্পর্কিত এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শহুরে এলাকার বাড়িগুলিতে কমোড প্রতি ২৫ টাকা করে ফি দিতে হবে। এমনটাই দাবি বিজেপির। তবে, কংগ্রেস সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

Himachal Pradesh: কমোড প্রতি দিতে হবে অতিরিক্ত কর! হিমাচলে কুস্তি কংগ্রেস-বিজেপির
কমোড প্রতি দিতে হবে অতিরিক্ত কর, দাবি হিমাচল বিজেপিরImage Credit source: Pexels
Follow Us:
| Updated on: Oct 04, 2024 | 2:55 PM

সিমলা: তীব্র আর্থিক সঙ্কটে হিমাচল প্রদেশ সরকার। এই অবস্থায়, সম্প্রতি হিমাচল সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। পয়ঃনিষ্কাশন এবং জলের বিল সম্পর্কিত এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শহুরে এলাকার বাড়িগুলিতে কমোড প্রতি ২৫ টাকা করে ফি দিতে হবে। কমোডের এই অতিরিক্ত ফি, জলশক্তি দফতরের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হবে। এই বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে, ক্ষমতাসীন সুখবিন্দর সিং সুখুর সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন রাজ্যের বিজেপি নেতারা।

সরকারী বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়েছে, জলের বিলের ৩০ শতাংশ নেওয়া হবে পয়ঃনিষ্কাশন বিল হিসেবে। অক্টোবরের শুরু থেকে, প্রতি মাসে জলের সংযোগ পিছু ১০০ টাকা করে জল বিল নেওয়া শুরু করেছে হিমাচল সরকার। এর আগে, জলের জন্য কোনও টাকা দিতে হত না।

এই বিষয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেছেন, “এটা কংগ্রেস দল এবং রাহুল গান্ধীর ‘খটাখট’ মডেলের সর্বোচ্চ উদাহরণ। এমনকি টয়লেটও ছাড়ছে না ওরা। পেট্রোল, ডিজেল, দুধ, জল, বাসের ভাড়া, এবং স্ট্যাম্প ডিউটি – হিমাচল প্রদেশ এবং কর্নাটকে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সবকিছুর উপর কর বসানো হয়েছে। বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেগুলি পূরণের পরিবর্তে, জনগণকে শোষণ করা হচ্ছে। কর্মচারীদের বেতন এবং পেনশন দেওয়া হবে না।”

প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন “এটা যদি সত্যি হয়, অবিশ্বাস্য! যখন প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছতাকে জনগণের আন্দোলন হিসাবে গড়ে তুলছেন, তখন কংগ্রেস শৌচাগারের জন্য মানুষের উপর কর দিচ্ছে! তারা অর্থনৈতিকভাবে ভাল অবস্থায় থাকাকালীন সাফাই পরিষেবা দেয়নি। এটা লজ্জাজনক। এই পদক্ষেপে গোটা দেশ লজ্জিত!”

হিমাচল প্রদেশ সরকারের জলশক্তি বিভাগ অবশ্য বলেছে, “বিল্ডিং মালিকের বসানো আসনের ভিত্তিতে পয়ঃনিষ্কাশন সংযোগ দেওয়া হবে, সরকার এই ধরনের কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। পয়ঃনিষ্কাশন সংযোগ আগের মতোই দেওয়া হবে। আগের মতোই শুধুমাত্র জলের চার্জ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, অন্য সব জিনিস একই থাকবে।”