ওড়িশা: কুসংস্কার এমন একটি বিষয় যা কোনও মানুষ বা পরিবারকে ধ্বংস করে দিতে পারে। মানুষের সামনে যখন সবটা আসে, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই চোখ-কান খোলা রেখেই কাউকে বিশ্বাস করা দরকার। ওড়িশায় এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে। মেয়ে অসুস্থ বলে তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে গিয়েছিল পরিবার। তবে তার জন্য যে এমন পরিণতি হবে, তা ভাবেননি যুবতীর বাবা-মা।
ওড়িশার রেশমা বেহেরার বয়স মাত্র ১৯ বছর। তিনি সিন্ধকেলার ইঞ্চি গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁদের মেয়ে প্রায় চার বছর ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁকে অনেক জায়গায় দেখানো হয়েছে, অনেক হাসপাতালেও চিকিৎসা করানো হয়েছে, তারপরও তিনি সুস্থ হননি বলে দাবি পরিবারের।
শেষ পর্যন্ত পরিবার তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল এক তান্ত্রিকের কাছে। জামুতঝুলা গ্রামের তান্ত্রিক সন্তোষ রানার কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অভিযোগ, তান্ত্রিক তাঁকে সুস্থ করার কথা বলে একটি ঘরে নিয়ে যায়। রেশমার বাবা বিষ্ণু বেহেরা বলেন, তাঁর মেয়েকে ওই ঘর থেকে বের করা হয় ঘণ্টাখানেক পর। তখন তাঁরা দেখেন, রেশমার মাথায় সূচ আটকে আছে।
একে একে তাঁর মাথা থেকে আটটি সূচ বের করে দেয় বাবা-মা। এরপরই অজ্ঞান হয়ে পড়েন রেশমা। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা রেশমার সিটি স্ক্যান করেন। সেই স্ক্যানের রিপোর্ট দেখেই চমকে যান চিকিৎসকরা। দেখা যায়, রেশমার মাথার ভিতরে রয়েছে ১০ খানা সূচ। অর্থাৎ ১৮টি বড় বড় সূচ ঢোকানো হয়েছিল তাঁর মাথায়।