Hospital Negligence: পরিবারকে প্রতিশ্রুতি দিয়েও হয়নি সৎকার, ১৫ মাস ধরে মর্গেই পচছে করোনায় মৃতের দেহ

Allegation of negligence against Hospital: পরিবার জানত, দেহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সৎকার করে দিয়েছে। হাসপাতাল থেকে তেমনটাই বলা হয়েছিল। শেষ বার দেখতেই পারেননি। কিন্তু এতদিন পর হাসপাতাল থেকে ফোনে যা বলল, তা চমকে দেওয়ার মতো।

Hospital Negligence: পরিবারকে প্রতিশ্রুতি দিয়েও হয়নি সৎকার, ১৫ মাস ধরে মর্গেই পচছে করোনায় মৃতের দেহ
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু পুলিশকর্মীর (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2021 | 12:20 AM

বেঙ্গালুরু: করোনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন দেড় বছর হল। পরিবার জানত, দেহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সৎকার করে দিয়েছে। হাসপাতাল থেকে তেমনটাই বলা হয়েছিল। শেষ বার দেখতেই পারেননি। কিন্তু এতদিন পর হাসপাতাল থেকে ফোনে যা বলল, তা চমকে দেওয়ার মতো। ১৫ মাস ধরে হাসপাতালের মর্গেই পচছিল দেহ। এমনই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী থেকেছে বেঙ্গালুরুর দুই পরিবার।

বছর চল্লিশের দুর্গা সুমিত্রা। মুনিরাজুর বয়স ৫০ এর আশেপাশে। ইএসআইয়ের তথ্য এবং বেঙ্গালুরুর রাজাজিনগরের মডেল হাসপাতালের তথ্য বলছে, গত বছরের ২ জুলাই মারা গিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময় দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল করোনার সংক্রমণ। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো প্রায় ভেঙে পড়ার দশা হয়ে গিয়েছিল। অনেকে তো নিজের প্রিয় জনের মুখটাও শেষ বারের জন্য দেখার সুযোগ পাননি। আর ঠিক এমনই একটা সময়েই মৃত্যু হয় দুর্গা ও মুনিরাজুর।

বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা (BBMP) সেই সময় হাসপাতালগুলিতে কত বেড রয়েছে, তার উপর নজর রাখছিল। বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বেড করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে নিয়েছিল পৌরনিগম। সেই সময় পৌরনিগম এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে জানানো হয়েছিল মৃত্যুর কথা। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে, সেই জন্য দেহ হস্তান্তর করা হয়নি পরিবারের কাছে। মৃতদের শেষ দেখাও দেখতে পারেননি পরিবারের লোকেরা। হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছিল, তাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই তাদের দেহ সৎকার করে দেবে।

সবকিছু মেনেও নিয়েছিলেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। মাঝে দেড় বছর কেটেও গিয়েছে। কিন্তু এখন হঠাৎই হাসপাতাল থেকে ফোন। আর ওপার থেকে যা বলল, তা শুনলে চমকে উঠতে হয়। হাসপাতাল থেকে এখন জানানো হচ্ছে, দেড় বছর ধরে হাসপাতালের মর্গেই পচছে তাঁদের প্রিয়জনের দেহ।

আর এই নিয়েই এখন কার্যত কোনঠাসা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহগুলির ময়না তদন্ত করা হবে এবং তারপর তা পরিবারগুলির হাতে তুলে দেওয়া হবে।

দুর্গার বোন সুজাতা জানিয়েছেন, “দুর্গা গত বছর করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। চারিদিকে হন্যে হয়ে ঘুরে বেরিয়েছিলেন তারা। কিন্তু কোথাও বেড পাচ্ছিলেন না। শেষে ইএসআই হাসপাতালে বেড পাওয়া যায়। চারদিন হাসপাতালে কাটানোর পর মৃত্যু হয় দুর্গার।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, “তখন কোভিডের জন্য দেহ আমাদের কাছে দেওয়া হয়নি। আমরা বাড়ি ফিরে এসেছিলাম। কয়েকদিন পর পৌরনিগম থেকে ফোন এল। বলল, দেহ সৎকার করা হয়ে গিয়েছে। তারপর এখন ১৫ মাস পর আবার ফোন এল। আমরা শুনেই চমকে গিয়েছি। ভেবে উঠতে পারছি না, কোনটা সত্যি।”

আরও পড়ুন : Saaf Water: প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে ভারতের মুকুটে আরও এক পালক, সেরার শিরোপা পেল ‘সাফ ওয়াটার’

আরও পড়ুন : IITian Parag Agarwal: টুইটারের নতুন সিইও হচ্ছেন বম্বে আইআইটির প্রাক্তনী পরাগ আগরওয়াল