AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Saaf Water: প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে ভারতের মুকুটে আরও এক পালক, সেরার শিরোপা পেল ‘সাফ ওয়াটার’

Technological Innovation by India: ব্যবহার যোগ্য জলের গুণমান নির্ধারণ করতে সাহায্য করে 'সাফ ওয়াটার'। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী লোকেদের জন্য এটি ভীষণভাবে সাহায্য করবে।

Saaf Water: প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে ভারতের মুকুটে আরও এক পালক, সেরার শিরোপা পেল 'সাফ ওয়াটার'
আইবিএমের সেরার শিরোপা পেল সাফ ওয়াটার (ছবি - টুইটার)
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2021 | 11:37 PM
Share

নয়া দিল্লি: প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে ভারত সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে এসেছে। এবার সেই মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হল। এই বছরের আইবিএম কল ফর কোড গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ জিতে নিল ‘সাফ ওয়াটার’। এটি ব্যবহার যোগ্য জলের গুণমান নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী লোকেদের জন্য এটি ভীষণভাবে সাহায্য করবে। এই ‘সাফ ওয়াটার’ দলে হয়েছেন হৃষিকেশ এম ভান্ডারি, জয় আহেরকার, সত্যম প্রকাশ, মণিকান্ত চাভভাকুলা এবং সংকেত মারাঠে। তাঁদের এই উদ্ভাবন নিয়ে আগামী দিনে বড় পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। তাঁরা বিশ্বজুড়ে পৌঁছে যেতে চান আগামী দিনে। কারণ, বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশের কাছে এখনও সুরক্ষিত পানীয় জল নেই।

টিম ‘সাফ ওয়াটার’ এই পাঁচ সদস্য হলেন নীতি আয়োগের ‘এইম টু ইনোভেট’-এর অধীনস্ত অটল টিঙ্কারিং ল্যাবসের প্রাক্তন ছাত্র। তাঁদেরই মস্তিষ্কপ্রসূত এই উদ্ভাবন। আইবিএমের কল ফর কোডের পুরস্কার মূল্য ২ লাখ মার্কিন ডলার। বিশ্বের মোট ১৮০ টি দেশ থেকে ৫ লাখেরও বেশি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল। সবার মধ্যে থেকে প্রতিযোগিতার বিজয়ী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে ‘সাফ ওয়াটার’। নীতি আয়োগের সিইও টুইটারে তাঁর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জানিয়েছেন, “ভারতের জন্য সত্যিই গর্বের মুহূর্ত।”

তিনি আরও বলেছেন, “সাফ ওয়াটারের ধারণাটি প্রথমবার উঠে আসে যখন তাদের দলের অন্যতম সদস্য হৃষিকেশের মা দূষিত ভূগর্ভস্থ জল খাওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সাফ ওয়াটারের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জল ব্যবহারের জন্য কতটা নিরাপদ, তা সম্পর্ক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। এইম টু ইনোভেট ভারতের পতাকায় উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

সাফ ওয়াটার-এর উদ্ভাবনীর অন্যতম সদস্য সংকেত মারাঠের কথায়, যেহেতু বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ এখনও ভূগর্ভস্থ জলের উপর নির্ভরশীল। তাই তারা অনুভব করেছিলেন যে এমন একটি সিস্টেমের প্রয়োজন রয়েছে যা নিয়মিতভাবে ভূগর্ভস্থ জলের অসঙ্গতি বা অবনতি সম্পর্কে পূর্ব সতর্কতা আমাদের দেখাবে। আর সেই চিন্তা থেকেই ‘সাফ ওয়াটার’-এর জন্ম হয়। এটি কেবল নিয়মিত ভূগর্ভস্থ জলের গুণগত মানের উপরেই নজর রাখে না বরং এটির উন্নতির জন্য এবং পরিশোধন পদ্ধতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীকে অবহিতও করে।

আরও পড়ুন : IITian Parag Agarwal: টুইটারের নতুন সিইও হচ্ছেন বম্বে আইআইটির প্রাক্তনী পরাগ আগরওয়াল