পটনা: বরপক্ষ এসে গিয়েছে। মণ্ডপে বসে পাত্র। এদিকে পাত্রীর দেখা নেই! গোটা বাড়ি তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোথাও পাওয়া গেল না। এমন সময়ই একজন এসে খবর দিল, বাথরুমে যাওয়ার নাম করে পালিয়েছে কনে। ব্যাস পরিবারের মাথায় হাত। এবার কী হবে? লগ্ন যে পেরিয়ে যাচ্ছে। এক প্রকার বাধ্য হয়েই কনের ছোট বোনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হল পাত্রের! কিন্তু এখানেই শেষ নয়। গল্পে নয়া টুইস্ট। বিয়ের পরেরদিনই হাজির ‘নিখোঁজ’ কনে। দাবি করলেন, তিনি বিয়ে করবেন। কিন্তু বিয়ে কী করে হবে? তাঁরই ছোটবোনের সঙ্গে যে আগের রাতে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে পাত্রের!
ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সমস্তিপুরে। গত ২১ জুন বিভূতিপুরের বাসিন্দা এক যুবতীর সঙ্গে পাবরার এক যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। ঘড়ি ধরে সঠিক সময়েই পাত্রপক্ষ এসে হাজির হয়। এদিকে, কনে-কে আনতে গিয়ে তো পরিবারের মাথায় হাত। পাত্রী যে উধাও। খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, পাত্রী নাকি সকালেই বাড়ি থেকে পালিয়েছে। মলত্যাগ করার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল যুবতী, তারপর আর বাড়ি ফেরেনি।
পাত্রপক্ষকে খালি হাতে গোটা গ্রামে মুখ পুড়বে, এই কথা ভেবেই ওই কনের বোনের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় পাত্রের। এদিকে, পরেরদিনই সকালে হাজির পাত্রী। জানাল, সে প্রেমিকের সঙ্গে পালায়নি, পাড়ার কয়েকজন ছেলে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল। যুবতীর বাড়ির লোকজন তো তাঁর কথায় বিশ্বাস করতে রাজি নয়। শুধু তাঁর ভাই বিশ্বাস করে এবং তাঁকে নিয়ে পুলিশের কাছে নিয়ে যায়। বর্তমানে পুলিশ অভিযুক্তকে খুঁজছে।