লখনউ: একটা কিনলে, একটা ফ্রি! এমন স্কিম তো হামেশাই চালিয়ে থাকেন দোকান, শপিং মলের মালিকরা। কিন্তু এমন স্কিম যদি মদের দোকানে চলে, তবে ব্যাপারটা কেমন হয়? একাংশের জন্য এই স্কিম দারুণ হলেও, একাংশের কাছে কিন্তু এটা একটা রাজনৈতিক হাতিয়ার। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম হয়েছে পরিস্থিতি।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু শহরে এই স্কিম চালিয়েই বিক্রি হচ্ছে মদ। যার জেরে মদের দোকানগুলির সামনে মৌমাছির মতো ভিড় জমিয়েছে সুরাপ্রেমীরা। ভিড়ের ঠেলা এতটাই যে তা সামাল দিতে হাঁফিয়ে উঠছে পুলিশ প্রশাসন। মাথার উপর তপ্ত সূর্য, প্য়াচ প্যাচে গরম। তার মধ্য়ে রাস্তায় মদের দোকান ঘিরে লম্বা লম্বা লাইন। কলকাতায় চৈত্র সেলেও গড়িয়াহাট কিংবা নিউমার্কেটে এতটা ভিড় হয় বলে তো মনে হয় না।
কিন্তু কাউন্টারে কাউন্টারে এমন বিনামূল্য মদ বিলির কারণটা কী? জানা গিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষ শেষ হতে হাতে আর দিন কয়েক। তার আগেই স্টক শেষ করতে হবে। তাই শুরু হয়েছে ‘স্টক ক্লিয়ারেন্স সেল’। ৩১ মার্চে মেয়াদ ফুরোচ্ছে এই অর্থবর্ষের।
তারপর শুরু হবে নতুন অর্থবর্ষ। আর সেই নতুন অর্থবর্ষেই রাজ্যজুড়ে নতুন আবগারি নীতি চালু করার কথা আগাম ঘোষণা করে দিয়েছে যোগী সরকার। তাই দোকানের পুরনো স্টক থেকে পিছু ছাড়াতেই এই পন্থা অবলম্বন মদের দোকানের।
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় চড়েছে রাজনৈতিক পারদ। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দিকে প্রশ্ন ছুড়েছেন দিল্লির বিরোধী দলনেত্রী অতিশি মারলেনা। তাঁর অভিযোগ, ‘সমাজমাধ্যম দেখছিলাম, মদের দোকানগুলো ঘিরে এতটাই ভিড় জমেছে যে তা সামাল দিকে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। কোথাও কোথাও তো দেখলাম পদপিষ্টও হয়েছেন কিছু মানুষ।’ এরপরই প্রশ্ন ছুড়ে অতিশি বলেন, ‘আমি বিজেপিকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, তারা কি রাজ্য়ে মাতাল তৈরি করতে চাইছে।’