Lalu Prasad Yadav: অস্বস্তি বাড়ল লালুর, রেল প্রকল্প দুর্নীতির পুনরায় তদন্ত শুরু সিবিআইয়ের

Corruption Case: প্রথমবার ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। সেই সময়ই রেলের প্রকল্পের জমি বন্টন নিয়ে দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

Lalu Prasad Yadav: অস্বস্তি বাড়ল লালুর, রেল প্রকল্প দুর্নীতির পুনরায় তদন্ত শুরু সিবিআইয়ের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 26, 2022 | 11:24 AM

নয়া দিল্লি: ফের বিপাকে লালু।  জনতা দল ইউনাইটেডের নেতা তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav) বিরুদ্ধে ফের একবার দুর্নাীতির তদন্ত শুরু করল সিবিআই (CBI)। রেল প্রকল্প মামলায় (RailProject) দুর্নীতিতেই পুনরায় তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডের সঙ্গে ফের একবার আরজেডি জোট বেঁধে সরকার গঠনের মাস খানেক পরই লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে এই তদন্ত শুরু হতেই ফের একবার বিহারে রাজনৈতিক ঝড় উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।  উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে লালু প্রসাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই।

প্রথমবার ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। সেই সময়ই রেলের প্রকল্পের জমি বন্টন নিয়ে দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। লালু প্রসাদ যাদব ছাড়াও উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, দুই মেয়ে চন্দা যাদব ও রাগীনী যাদবের নামও জড়ায় ওই দুর্নীতিতে। ২০১৮ সালে এই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে সিবিআই। তবে ২০২১ সালের মে মাসে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সময় সিবিআই সূত্রে জানানো হয়েছিল লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সাপেক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি।

সেই মামলাতে সিবিআই ফের তদন্ত শুরু করতেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল আরজেডি বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে নতুন করে কংগ্রেস ও জেডিইউয়ের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন করেন। মহাগটবন্ধনের কয়েক মাস পরই সিবিআই বন্ধ হয়ে যাওয়া মামলার পুনরায় তদন্ত শুরু করতেই বিরোধীদের দাবি, গোটা পদক্ষেপই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্য়বহার করছে কেন্দ্রের  বিজেপি সরকার।

কী এই রেল প্রকল্প দুর্নীতি?

অভিযোগ, মুম্বইয়ের বান্দ্রায় রেলের একটি প্রকল্প ও নয়া দিল্লি রেলস্টেশনকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার প্রকল্প রিয়েল এস্টেট এজেন্ট ডিএলএফ গ্রুপকে পাইয়ে দিয়েছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব। এর বদলে তাঁকে ঘুষ হিসাবে দক্ষিণ দিল্লির একটি জমি দেওয়া হয়। ডিএলএফ সংস্থার ভুয়ো কোম্পানি বাজারদরের তুলনায় অনেক কম দামে জমি পেয়েছিল। পরে ওই ভুয়ো সংস্থাকে কিনে নেন তেজস্বী যাদব।