Ropeway Project: শঙ্করাচার্য থেকে মহাকালেশ্বর! ৯০ কিলোমিটারের রোপওয়ে প্রজেক্টের তালিকায় কী কী আছে?
Ropeway Project: লাদাখেও এমন একটি রোপওয়ে হবে আকর্ষণের কারণ। লেহ প্যালেস থেকে লাদাখ উপত্যকার যে কোনও জায়গায় যাওয়া যাবে ওই রোপওয়েতে চেপে।
নয়া দিল্লি: সড়ক ও রেল যোগাযোগের পাশাপাশি এবার যোগাযোগ ব্যবস্থা মজবুত করতে আরও এক উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী কয়েক মাসে প্রায় ৯০ কিলোমিটার জুড়ে রোপওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। সাধারণত পর্যটকদের জন্য রোপওয়ে বরাবরই আকর্ষণের। এবার কাশ্মীরে পাহাড়ি মন্দিরে ওঠার জন্য সেই রোপওয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, শ্রীনগরে পাহাড়ের ওপর যে বিখ্যাত শঙ্করাচার্য মন্দির রয়েছে, তা যাতে পর্যটকরা রোপওয়েতে যেতে পারেন, সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। অন্ধ্র প্রদেশে কৃষ্ণা নদীর ওপর দিয়ে কুর্নুলের শ্রীসাইলামে জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরে যাওয়ার জন্যও লাগানো হবে রোপওয়ে। লাদাখেও এমন একটি রোপওয়ে হবে আকর্ষণের কারণ। লেহ প্যালেস থেকে লাদাখ উপত্যকার যে কোনও জায়গায় যাওয়া যাবে ওই রোপওয়েতে চেপে।
মধ্য প্রদেশে আরও একটি রোপওয়ে তৈরি হওয়ার কথা। উজ্জ্বয়ীনের মহাকালেশ্বর মন্দিরে যাওয়ার জন্য ২ কিলোমিটার রোপওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। আগামী ১১ অক্টোবর ওই মন্দির দর্শনে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তার আগেই টেন্ডার ডাকা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এরকম একাধিক প্রকল্প শুরু হতে চলেছে। কাশ্মীর ছাড়াও মনিপুর, ত্রিপুরা, তামিলনাড়ুতেও রোপওয়ে তৈরি হওয়ার কথা আছে। কাশ্মীরে তৈরি হচ্ছে ২ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়ে, যা দর্শন দেওপদি ও শিবখোরির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। এ ছাড়া তামিলনাড়ুতে পালানি ও কোদাইকানালের মধ্য়ে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়ে তৈরি হওয়ার কথা।
কর্ণাটকের উদুপিতে কোদাচাদরি পাহাড়ে যাওয়ার জন্য ৭ কিলোমিটার লম্বা রাস্তা জুড়ে ও হিমাচল প্রদেশের কুল্লুতে বিজলি মহাদেব মন্দিরে যাওয়ার জন্য ৩ কিলোমিটার জুড়ে রোপওয়ে তৈরি হবে বলে সূত্রের খবর। উত্তরাখণ্ডে কেদারনাথে ও হেমকুন্ড সাহিবেও রোপওয়ে করার ব্যাপারে আলোচনা চলছে।