AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

COVID-19: করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তা, সমস্ত রাজ্যকে চিঠি পাঠাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক

COVID-19: রাজ্য তথা দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে একেবারে নিশ্চিন্ত হতে পারছে না স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি পাঠিয়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্ক করেছেন।

COVID-19: করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তা, সমস্ত রাজ্যকে চিঠি পাঠাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক
ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ।
| Edited By: | Updated on: Dec 21, 2022 | 9:41 AM
Share

নয়া দিল্লি: চিনে ফের লাগামছাড়া করোনা। নাগরিকদের বিক্ষোভে জিরো কোভিড নীতি শিথিল করতেই ক্রমাগত বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এখনই যদি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তবে নতুন বছরের প্রথম দুই মাসের মধ্যেই করোনা সংক্রমণে কমপক্ষে ২১ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। আমেরিকার তরফেও চিনের করোনা সংক্রমণ নিয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গা ছাড়া মনোভাব দেখাতে নারাজ স্বাস্থ্য মন্ত্রক। চিনের বাড়ন্ত করোনা সংক্রমণ নিয়ে সমস্ত রাজ্যকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের উপর নজরদারি করার  নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের উপরে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্যগুলিকে লেখা চিঠিতে বলেছেন, “সম্প্রতিই জাপান, আমেরিকা, রিপাবলিক অব কোরিয়া, ব্রাজিল ও চিনে যে হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে আইএনএসএসিওজি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত করতে জিনোম সিকোয়েন্সিং করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, নতুন ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত করতে সাহায্য় করবে জিনোম সিকোয়েন্সিং। যদি দেশে কোনও করোনা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ে, তবে সেই সংক্রমণ রুখতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। উল্লেখ্য, ভারতের করোনার জিনোম কনসর্টিয়াম, যা INSACOG নামে পরিচিত, তার অধীনে ৫০টি ল্যাবরেটরিই জিনোম সিকোয়েেন্সিংয়ের মাধ্যমে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত করে।

দেশ ও রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি-

বিশ্বে বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ৩৫ লক্ষ নতুন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১২। দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৪৯০। অন্য়দিকে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুযায়ী, রবিবার রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল শূন্য। সোমবার মাত্র একজন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হন।

রাজ্য তথা দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে একেবারে নিশ্চিন্ত হতে পারছে না স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি পাঠিয়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্ক করেছেন।

আবার ফিরছে করোনা?

বিশ্বে এখনও প্রতি সপ্তাহে ১০ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। বিশেষ করে চিনের করোনা পরিস্থিতি ফের গোটা বিশ্বের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিনের বিভিন্ন হাসপাতালগুলিকে কোভিড রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে শুরু করেছে। বাড়ছে মৃত্যুমিছিলও। আগামী দিনে চিনের এই পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট ভারতে ঢুকে পড়ছে কি না, তার উপর নজরদারি চালানো আরও বেশি প্রয়োজন বলে মনে করছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেই কারণে আক্রান্তের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের উপর আরও জোর দিতে বলা হয়েছে।