অমরাবতী: জাপান কিংবা দক্ষিণ কোরিয়ার জুতোয় যেন পা না গলায় ভারত, জনগণের কাছে হঠাৎ আর্জি রাখলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। পড়ছে দেশের জন্মহার। আর সেই চিন্তায় এই কথা বললেন চন্দ্রবাবু নাইডু।
একটি জনসমাবেশে গিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের কুপ্পুম শহরের জন্মহার কমছে বলেই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী নাইডু। তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কুপ্পুম জেলা জন্মহার ১.৫ হয়ে গিয়েছে। যা সাধারণ ভাবে দুই থাকা উচিত।’ একই সুরে তুলে ধরেন দেশের কথাও। উদ্বেগ প্রকাশ দেশের পড়তে থাকা জন্মহার নিয়েও।
নাইডুর কথায়, ‘এখনকার বহু দম্পতি সম্পত্তি ও আর্থিক ভারসাম্য তৈরি করতে গিয়ে পরিবার বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে ভুলে গিয়েছে। পরিবারের থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্থিক উন্নতি। যদি তাদের বাবা-মায়েরাও এই ভাবে ভাবত, তবে তারা কি এই পৃথিবীতে আদৌ কোনও দিন আসতে পারত?’
এই প্রসঙ্গেই উপমা হিসাবে তুলে ধরেন জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলির কথা। অর্থনৈতিক উন্নয়নে বরাবরই শীর্ষে থাকলেও গত কয়েক বছরে হোঁচট খেতে হচ্ছে এই দেশগুলিকে। জন্মহার কমে যাওয়ার জেরে প্রভাব পড়ছে কর্মক্ষমে, প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। আর সেই বিষয়টিকে বারবার আঙুল উঁচিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন নাইডু। তাঁর দাবি, ভারত যেন কোনও ভাবে জন্মহারের দিকে জাপান কিংবা দক্ষিণ কোরিয়ার অনুগামী না হয় এই বিষয়টিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এর আগে গতবছর অক্টোবর মাসেও অন্ধ্রপ্রদেশে জন্মহারের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বৈঠকের দাবি তুলেছিলেন নাইডু।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে বৃদ্ধদের দেশ হিসাবে যথারীতি তকমা পেয়েছে জাপান। সেই দেশের বেশির ভাগ মানুষের বয়স ৬০এর উপরে। ২০১৪ এর একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, জাপানের গোটা জনসংখ্যা ৩৮ শতাংশ মানুষের বয়স ৬০ ও ২৫ শতাংশ মানুষের বয়স ৬৫।
জাপানের পথে যে বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার এই দেশটি যাবে সেই বিষয়ে আগেভাগেই সর্তক করে দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। তাদের দাবি, ২০৬২ সাল পর্যন্ত ভারতের জনসংখ্যা হুড়মুড়িয়ে বৃদ্ধি পাবে। এরপর শুরু জন্মহারে পতন। অর্থাৎ, আর প্রায় ৪ দশক পড়েই হুড়মুড়িয়ে পড়বে ভারতের জন্মহার।