AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘শীর্ষ নেতৃত্ব বললেই ইস্তফা দেব’, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দিকেই রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির তোপ বাঘেলের

কেসি বেণুগোপালের পাশাপাশি মঙ্গলবার রাহুল গান্ধী ও ছত্তিগসগঢ়ের ইনচার্জ পিএল পুনিয়ার সঙ্গেও ভূপেশ বাঘেল ও টিএস দেও দেখা করেন বলে জানা গিয়েছে।

'শীর্ষ নেতৃত্ব বললেই ইস্তফা দেব', স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দিকেই রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির তোপ বাঘেলের
ফাইল চিত্র। ছবি:PTI
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2021 | 7:42 AM
Share

রায়পুর: দলের শীর্ষ নেতারা নির্দেশ দিলেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে রাজি ভূপেশ বাঘেল (Bhupesh Baghel)। পঞ্জাবের পর এ বার ছত্তিসগঢ়(Chhattisgarh)-এও কংগ্রেস সরকারে ফাটল ধরেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিএস দেও(TS Deo)-র সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে এক প্রকার বিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন ছত্তিসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। ক্ষমতার সম বন্টনের কারণ দেখিয়ে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর দাবি উঠতেই ভূপেশ বাঘেল জানালেন, সনিয়া ও রাহুল গান্ধী তাঁর উপর ভরসা রেখে এই দায়িত্ব দিয়েছেন। তাঁরা যদি চান, তবেই তিনি ইস্তফা দেবেন।

বুধবার দিল্লি থেকে ফিরে বিমানবন্দরেই ভূপেশ বাঘেল বলেন, “আমি আগেও বলেছি, শীর্ষ নেতৃত্ব যদি বলে, তবেই ইস্তফা দেব আমি। এই বিষয়ে কারোর যেন সংশয় না থাকে। যারা আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকার কথা বলছে, তারা রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, যা কখনওই সফল হবে না।”

বিবাদের সূত্রপাত:

ছত্তিসগঢ়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিএস দেও-র সঙ্গে ক্ষমতা নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। দেও-র দাবি, ২০১৮ সালে কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় এসেছিল, তখন চুক্তি হয়েছিল যে আড়াই বছর ভূপেশ বাঘেল মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। বাকি আড়াই বছর তাঁর মুখ্যমন্ত্রী থাকার কথা থাকলেও পদ ছাড়ছেন না বাঘেল। এরই জবাবে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই ক্ষমতা হাতবদলের কথা বলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “রাজ্যে সরকার পরিচালন নিয়ে বলি, সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী আমার মতো কৃষকদের উপর রাজ্য সামলানোর দায়িত্বভার দিয়েছেন। আমি খুব খুশি তাতে। এই সরকার কৃষকদের, শ্রমিকদের, বিভিন্ন জনজাতির। ২.৮ কোটি মানুষের সরকার এটি এবং তা ভালই কাজ করছে।”

সূত্রের খবর, বুধবারই কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপালের সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করেন ভূপেশ বাঘেল ও টিএস দেও। নিজেদের মধ্যে সমস্যার পাশাপাশি সরকারি কাজ নিয়ে কী কী ক্ষোভ রয়েছে, তাও জানান।  আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ফের কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন দুই কংগ্রেস নেতা।

 কেসি বেণুগোপালের পাশাপাশি মঙ্গলবার রাহুল গান্ধী ও ছত্তিগসগঢ়ের ইনচার্জ পিএল পুনিয়ার সঙ্গেও ভূপেশ বাঘেল ও টিএস দেও দেখা করেন বলে জানা গিয়েছে। এই সাক্ষাতে রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্প ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। যদিও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দুই নেতার সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে পিএল পুনিয়া জানান, ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে নয়, রাজ্যের উন্নয়ন নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে এই বৈঠকে।

বিজেপির তরফেও এই ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে তার জবাবে ভূপেশ বাঘেল বলেন, “রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী একজন কৃষকের ছেলে, তাই বিজেপির কাছে এটা আরও বড় চ্যালেঞ্জ। ছত্তিসগঢ়ের সংস্কৃতি নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না ওদের।” আরও পড়ুন : একদিনও বেশি সময় দিতে নারাজ তালিবান, ঝুঁকি নিয়েই দেশে ফেরানো হচ্ছে ১৮০ জনকে