AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Viral Video: আসেনি শববাহী গাড়ি, মেয়ের মৃতদেহ কোলে নিয়েই ১০ কিমি হাঁটলেন বাবা! ভাইরাল ভিডিয়ো

Viral Video: শুক্রবার সকালেই ওই বাচ্চা মেয়েটির মৃত্যু হয় ছত্তীসগঢ়ের লখনপুর গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু শববাহী গাড়ি দেরিতে আসায়, ওই বাচ্চাটির বাবা নিজেই মেয়ের দেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।

Viral Video: আসেনি শববাহী গাড়ি, মেয়ের মৃতদেহ কোলে নিয়েই ১০ কিমি হাঁটলেন বাবা! ভাইরাল ভিডিয়ো
মেয়ের মৃতদেহ কোলে করে নিয়ে আসছেন ওই ব্যক্তি।
| Edited By: | Updated on: Mar 26, 2022 | 12:11 PM
Share

অম্বিকাপুর: ছোটবেলা থেকে কোলে-পিঠে করে মানুষ করেছিলেন মেয়েকে। আর্থিক কষ্টও বুঝতে দেননি সেইরকমভাবে। তবে শেষ অবধি মেয়েকে সুরক্ষিত রাখতে পারলেন না। সামান্য জ্বরই কেড়ে নিল তাঁর মেয়েকে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলেও অক্সিজেনের লেভেল কমে যাওয়ায় শুক্রবার সকালেই মৃত্যু হয় তাঁর সাত বছরের মেয়ের। শববাহী গাড়ির অপেক্ষা না করেই মেয়ের মৃতদেহকে কোলে নিয়েই ১০ কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি ফিরে গেলেন বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়(Chhattisgarh)-র সুরগুজা জেলায়। ছবিটি ভাইরাল হতেই তোলপাড় হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। ছত্তীসগঢ়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিএস দেও (TS Deo) গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

রাজ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালেই ওই বাচ্চা মেয়েটির মৃত্যু হয় ছত্তীসগঢ়ের লখনপুর গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু শববাহী গাড়ি দেরিতে আসায়, ওই বাচ্চাটির বাবা নিজেই মেয়ের দেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। জানা গিয়েছে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই ব্যক্তির বাড়ি। গোটা পথটাই ওই ব্যক্তি মেয়ের মৃতদেহ কোলে নিয়ে হেঁটে যান।

জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম ঈশ্বর দাস। শুক্রবার ভোরবেলায় তিনি সাত বছরের মেয়ে সুরেখাকে নিয়ে লখনপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক তথা গ্রামীণ মেডিক্য়াল অ্যাসিসটেন্ট ডঃ বিনোদ ভার্গব বলেন, “যখন বাচ্চা মেয়েটিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হয়েছিল, তাঁর অক্সিজেন লেভেল প্রায় ৬০-র কাছাকাছি ছিল। বিগত কয়েকদিন ধরেই তাঁর জ্বর ছিল। দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ ওই বাচ্চা মেয়েটির মৃত্যু হয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা মৃতার পরিবারকে জানিয়েছিলাম যে শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সকাল ৯টা ২০ নাগাদ ওই গাড়িটি এসে পৌঁছয়, কিন্তু ততক্ষণে ওই ব্যক্তি তাঁর মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে চলে যান।”

ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটিতে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি মেয়ের মৃতদেহ নিয়েই বাড়ির উদ্দেশে হেঁটে যাচ্ছেন। ভিডিয়োটি একাধিকবার শেয়ার হতেই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিএস দেও-র নজরে আসে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও স্বাস্থ্যকর্তাকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন।

সাংবাদিকদের সামনে মন্ত্রী বলেন, “ভিডিয়োটি আমিও দেখেছি। অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা। আমি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছি। যারা ওই সময়ে দায়িত্বে ছিলেন, কিন্তু নিজেদের কর্তব্য পালন করেননি, তাদের বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছি। ”