কাকা-ভাইপোর ঝগড়ায় পার্টির সব পদ হারাবেন চিরাগ? জল্পনা তুঙ্গে
এ বার কী অপেক্ষা করছে লোক জনশক্তি পার্টির জাতীয় সভাপতি চিরাগ পাসোয়ানের জন্য?
নয়া দিল্লি: চেষ্টা করেও কাকার দেখা পাননি। ৫ সাংসদের সমর্থন আগেই হারিয়েছেন। এ বার কী অপেক্ষা করছে লোক জনশক্তি পার্টির (LJP) জাতীয় সভাপতি চিরাগ পাসোয়ানের (Chirag Paswan) জন্য? সূত্রের খবর, লোক জনশক্তি পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি-সহ সব পদ থেকে সরতে হতে পারে চিরাগ পাসোয়ানকে। যে ৫ বিদ্রোহী সাংসদ চিরাগ পাসোয়ানের বদলে কাকা পশুপতি কুমার পরসকে দলের নেতা হিসেবে চেয়েছেন, তাঁরা এ বার পার্টির সব পদ ছাড়ার জন্য চাপ দিতে পারেন চিরাগকে।
লোকসভায় চিরাগ পাসোয়ানের দল এলজেপির মোট ৬ জন সাংসদ। এর মধ্যে ৫ জনই দলের নেতা হিসেবে চান চিরাগের কাকা পশুপতি কুমার পরসকে। তাঁরা ইতিমধ্যেই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে তাঁদের ভিন্ন দল হিসেবে দেখতে আবেদন করেছেন। রামবিলাস পাসোয়ানের ছোট ভাইয়ের সঙ্গে চিরাগের আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক। একই দলে থাকলেও কাকা-ভাইপোর মধ্যে কথাবার্তা কার্যত বন্ধ ছিল এতদিন। যা কথা হত সব চিঠির মাধ্যমে। সূত্র অনুযায়ী, তলে তলে ইতিমধ্যেই নীতীশ কুমারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন পশুপতি, মন্ত্রীসভায় তাঁকে জায়গা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
এই জল্পনাকে আরও উসকে দিয়েছে পশুপতি পরসের মন্তব্য। খোদ তিনিই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর সমর্থন এনডিএ জোটে। এলজেপি পার্টিকে বাঁচাতেই ৫ সাংসদকে বুঝিয়ে চিড় সামলেছেন পশুপতি। এমনই দাবি তাঁর। গত বছর বিহার নির্বাচনের ঠিক আগে এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে এসে এককভাবে প্রার্থী দিয়েছিলেন চিরাগ পাসোয়ান। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁর প্রতিশোধ নিল জেডিইউ। এমনটা মনে করেছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। জেডিইউ অবশ্য় সাফ জানিয়েছে, এই ভাঙনে কোনও ভূমিকা নেই তাঁদের, বিজেপিও পাসোয়ানের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছে।
সোমবার ড্যামেজ রিপেয়ারিং করতে কাকার বাড়ি গিয়েছিলেন চিরাগ। সূত্রের খবর, এলজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হবেন তাঁর মা, এই প্রস্তাব নিয়ে পশুপতি পরসের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করে কাকার দেখা না পেয়েই ফিরতে হয়েছে চিরাগকে।