‘কী পড়ছিলেন, আমরা জানি’, ফোনে আড়ি পাতার কথা কি আগেই জানতেন রাহুল?

Rahul Gandhi on Pegasus: বিরোধীদের অভিযোগ, যেহেতু হ্যাকিং পদ্ধতিটি শুধু সরকারেরই জানা, সুতরাং কেন্দ্রই বিরোধী নেতা থেকে শুরু করে আম জনতার উপর নজরদারি চালাচ্ছে।

'কী পড়ছিলেন, আমরা জানি', ফোনে আড়ি পাতার কথা কি আগেই জানতেন রাহুল?
ওয়ানাডের সাংসদ জানিয়েছেন, সংবাদ মাধ্যমের একটা বড় অংশ বিজেপির আদর্শকে দেশে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করছে। আমদের আদর্শ ঢাকা পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল আমরা আমাদের সমর্থকদের মধ্যে কখনও হিংসাত্মক চিন্তাধারা প্রবেশ করতে দিইনি। আমাদের মানুষের কাছে গিয়ে দুই আদর্শের মধ্যেকার ফারাকটা বোঝাতে হবে। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2021 | 12:21 PM

নয়া দিল্লি: পেগাসাসের মাধ্যমে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে সাংবাদিক, শিল্পপতি, সমাজকর্মী, বিচারপতিদের ফোন হ্যাক করার অভিযোগ সামনে আসতেই সরগরম রাজনৈতিক মহল। বাদল অধিবেশনেও এর প্রভাব পড়বে, তা স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রকে পেগাসাস নিয়ে এক হাত নিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

রবিবার রাতেই একটি সর্বভারতীয় ডিজিটাল মাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়, কয়েকটি ফোনের ফরেনসিক টেস্ট করে দেখা গিয়েছে তাতে ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাসের ব্যবহার করে দেশের নেতামন্ত্রী থেকে শুরু করে ৪০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির উপর নজরদারি রাখা হচ্ছে। এই স্পাইওয়্যারটি কেবলমাত্র সরকারের কাছেই রয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, যেহেতু হ্যাকিং পদ্ধতিটি শুধু সরকারেরই জানা, সুতরাং কেন্দ্রই বিরোধী নেতা থেকে শুরু করে আম জনতার উপর নজরদারি চালাচ্ছে।

যদিও সরকারের তরফে এই দাবিকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা হয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির উপর সরকারের নজরদারি চালানোর যে অভিযোগ উঠেছে, তা কোনও জোরালো প্রমাণের উপর ভিত্তি করে নয় এবং দাবিটি সম্পূর্ণরূপে অসত্য।

তিন দিন আগেই রাহুল গান্ধী টুইটে লিখেছিলেন, “আপনারা কী পড়ছেন, তা জানতে ইচ্ছে করে।” এ দিন সেই টুইটের সূত্র টেনেই লেখেন, “আমরা জানি উনি কী পড়ছিলেন, আমাদের ফোনের সমস্ত তথ্য।” এ দিকে, রাহুলের এই টুইট ঘিরেও শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, উনি কি আগেই জানতেন পেগাসাসের কথা?

কাদের উপর পেগাসাসের মাধ্যমে নজরদারি রাখা হয়েছিল, তাও ওই সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি, মোদী সরকারের দুই মন্ত্রীরও নাম উঠে এসেছে, যাদের উপর ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন অবধি ফোন হ্যাক করে আড়ি পাতা হয়েছিল। ৩০০টি ভারতীয় নম্বর, যা হ্যাক করা হয়েছিল, তার মধ্যে একাধিক আইনজীবী, ব্যবসায়ী, সরকারি আধিকারিক, বিজ্ঞানী, সমাজকর্মীদের নামও রয়েছে। আরও পড়ুন: ‘কঠিন প্রশ্ন অবশ্যই করুন, তবে…’ অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধীদের বার্তা মোদীর