নয়া দিল্লি: নতুন বছরের শুরুতে করোনার নয়া স্ট্রেন যেমন চোখ রাঙাচ্ছে, তেমনই আশার আলো দেখাচ্ছেন ভ্যাকসিন নির্মাতারাও। শুক্রবারই দেশে প্রথম করোনা প্রতিষেধক হিসাবে বিশেষজ্ঞ দলের অনুমোদন পেয়েছে কোভিশিল্ড। শনিবার করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় দফার ড্রাই রান শুরু হচ্ছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাও। রাজ্যের দত্তাবাদ, মধ্যমগ্রাম ও আমডাঙায় চলবে এই ড্রাই রান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা নির্বাচনের আগে ভোটকেন্দ্রের প্রস্তুতির মতো, মক পোলিং যেমন হয়। অর্থাৎ দেশে ভ্যাকসিন প্রদান পরিষেবা চালু হলে কীভাবে কোন পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তার খুঁটিনাটি সবটা তুলে ধরা হবে এই ড্রাই রানে। ভ্যাকসিন দেওয়া বাদে, বাকি যা যা প্রক্রিয়া রয়েছে তা দেখানো হবে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। ভ্যাকসিনেশন অফিসার, পুলিস, ক্লায়েন্ট সকলেই থাকবেন এই ড্রাই রান প্রক্রিয়ায়। ড্রাই রানের মূল লক্ষ্যই হল দেখে নেওয়া, ভ্যাকসিন দিতে রাজ্যগুলি কতটা প্রস্তুত। ড্রাই রানে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে কয়েকজন থাকবেন যাঁরা ক্লায়েন্ট হিসাবে বিবেচিত হবেন। অনলাইনে নাম তোলার যে পদ্ধতি, সেভাবে নামও তুলতে হবে তাঁদের।
Union Health Secretary Rajesh Bhushan today chaired a high-level meeting to review the preparedness at session sites for COVID-19 vaccination with Pr. Secretaries (Health), NHM MDs and other health administrators of all States/UTs through video conference: Govt of India https://t.co/wtkAdgszGL
— ANI (@ANI) December 31, 2020
* প্রায় ৯৬,০০০ ভ্যাকসিনেটরকে এই প্রক্রিয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এর মধ্যে ২৩৬০ জনকে জাতীয় স্তরের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বাকিরা জেলাস্তরে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ৭১৯টি জেলায় এই প্রশিক্ষণ পর্ব চলেছে।
*ড্রাই রান পর্বে প্রতি কেন্দ্রে ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী ‘ডামি ভ্যাকসিন’ নেবেন। উদ্দেশ্য, বুঝে নেওয়া, ভ্যাকসিন দিতে গিয়ে প্রক্রিয়াগত ও প্রযুক্তিগত কী কী অসুবিধা হচ্ছে।
*এর আগে ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর অন্ধ্র প্রদেশ, অসম, গুজরাতে ড্রাই রান হয়েছে।
* আজ বাংলা, হরিয়ানা, কেরল, পঞ্জাবের একাধিক জায়গায় ড্রাই রান হবে।
*উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যগ্রামের ইউপিএইচসি ৪, আমডাঙা ও সল্টলেকের দত্তাবাদে করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাই রান হবে।
*স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, যে কোনও সময়ই ভারতে টিকাকরণের কাজ শুরু হয়ে যেতে পারে। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন নিয়ে জোর কদমে কাজ চলছে। তাই টিকাকরণের সবরকম প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে সরকার।