AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Maha Kumbh 2025: স্নানের অযোগ্য গঙ্গা-যমুনার জল, কেন্দ্রীয় সংস্থার রিপোর্টে শোরগোল মহাকুম্ভে

Maha Kumbh 2025: কেন্দ্রীয় সংস্থা জানাচ্ছে, স্নানের উপযুক্তই নয় সঙ্গমের একাধিক জায়গার জল। দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। বিষয়টি জাতীয় সবুজ ট্রাইব্যুনালকেও জানানো হয়েছে।

Maha Kumbh 2025: স্নানের অযোগ্য গঙ্গা-যমুনার জল, কেন্দ্রীয় সংস্থার রিপোর্টে শোরগোল মহাকুম্ভে
Image Credit: PTI
| Updated on: Feb 18, 2025 | 5:00 PM
Share

নয়া দিল্লি: চলছে মহাকুম্ভ। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ইতিমধ্যেই ৫১ কোটি পুণ্যার্থী স্নান করে ফেলেছেন সঙ্গমে। তার মধ্যেই সামনে এসেছে বড় তথ্য। কেন্দ্রীয় সংস্থা জানাচ্ছে, স্নানের উপযুক্তই নয় সঙ্গমের একাধিক জায়গার জল। দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। বিষয়টি জাতীয় সবুজ ট্রাইব্যুনালকেও জানানো হয়েছে।

সোমবার কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) কর্তৃক দাখিল করা একটি রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রয়াগরাজের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগৃহীত জলের নমুনাগুলিতে মল কোলিফর্মের মাত্রা অতিরিক্ত বেশি। যা স্নানের জন্য প্রয়োজনীয় নূন্যতম জলের মানের মাপকাঠিতেও উর্ত্তীর্ণ হতে পারে না।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) কর্তৃক নির্ধারিত, ‘পয়ঃনিষ্কাশন’ দূষণের একটি সূচক। বোর্ড কর্তৃক মল কলিফর্মের অনুমোদিত সীমা প্রতি ১০০ মিলিলিটারে ২,৫০০ ইউনিট।

ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি) এর চেয়ারপার্সন বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব, বিচার বিভাগীয় সদস্য বিচারপতি সুধীর আগরওয়াল এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য এ সেন্থিল ভেলের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চে প্রয়াগরাজে গঙ্গা ও যমুনা নদীতে ‘পয়ঃনিষ্কাশন’ রোধ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল। সেই মামলা চলাকালীন সময়ে সিপিসিবি ৩ ফেব্রুয়ারি এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টে কিছু অসঙ্গতি এবং নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে।

বিভিন্ন সময়ে পরীক্ষা করা সব জায়গার নদীর জলের গুণমান, মল কলিফর্ম (FC) মাত্রা অনুসারে স্নানের জন্য জলের প্রাথমিক মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলার সময়, শুভ স্নানের দিনগুলি সহ, প্রচুর সংখ্যক মানুষ নদীতে স্নান করেন, যার কারণে অবশেষে মলের ঘনত্ব বৃদ্ধি হয়েছে, বলে উল্লেখ করা হয় সেই রিপোর্টে।

বেঞ্চ আরও উল্লেখ করে, যে উত্তরপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের(UPPCB) এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাদের একটি বিস্তৃত অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই পূর্ববর্তী নির্দেশ মেনে চলেনি উত্তরপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড। প্রয়োজনীয় রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরিবর্তে, ইউপিপিসিবি কেবলমাত্র নির্দিষ্ট জল পরীক্ষার ফলাফল তার সঙ্গে একটি কভার লেটার জমা দিয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল বলে, “কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগার দ্বারা, UPPCB-এর ইনচার্জ কর্তৃক ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ প্রেরিত কভার লেটারের সঙ্গে যুক্ত নথিগুলি পর্যালোচনা করার পরেও, বিভিন্ন স্থানে উচ্চ মাত্রার মল এবং মোট কলিফর্ম সনাক্ত করা গিয়েছে।”

উত্তরপ্রদেশের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীকে রিপোর্টটি পরীক্ষা করে প্রতিক্রিয়া জমা দেওয়ার জন্য একদিন সময় দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দিয়ে বলে, “ইউপিপিসিবির সদস্য সচিব এবং প্রয়াগরাজে গঙ্গার জলের গুণমান বজায় রাখার জন্য দায়ী সংশ্লিষ্ট রাজ্য কর্তৃপক্ষকে ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত পরবর্তী শুনানিতে ভার্চুয়ালি উপস্থিত হতে হবে।”