আদালতেই সিবিআইয়ের প্রশ্নবাণ, অসুস্থ হয়ে পড়লেন কেজরীবাল

Arvind Kejriwal: আজ, বুধবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআই একের পর এক প্রশ্ন করেন কেজরীবালকে। অফিসিয়ালি গ্রেফতারও করা হয় তাঁকে। এরপরই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন কেজরীবাল।

আদালতেই সিবিআইয়ের প্রশ্নবাণ, অসুস্থ হয়ে পড়লেন কেজরীবাল
রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে অরবিন্দ কেজরীবাল।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 26, 2024 | 2:13 PM

নয়া দিল্লি: আদালতে অসুস্থ হয়ে পড়লেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবাল (Arvind Kejriwal)। আজ, বুধবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআই একের পর এক প্রশ্ন করেন কেজরীবালকে। অফিসিয়ালি গ্রেফতারও করা হয় তাঁকে। এরপরই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন কেজরীবাল। সূত্রের খবর, ব্লাড সুগার কমে যাওয়ার কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কেজরীবাল।

এ দিন সুপ্রিম কোর্টে অরবিন্দ কেজরীবালের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। তার আগে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে কেজরীবালকে গ্রেফতার করে সিবিআই। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টে যে জামিনের নির্দেশে স্থগিতাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছিল, সেই পিটিশন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ইডিও এতে আপত্তি জানায়নি। তারা জানিয়েছে, আরও তথ্য প্রমাণ জমা দেওয়া হবে আদালতে।

রাউস অ্য়াভিনিউ আদালতে এদিন শুনানির শুরুতেই কেজরীবালের আইনজীবীরা সিবিআইয়ের গ্রেফতারির বিরোধিতা করেন। কেজরীর আইনজীবীরা দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সংস্থা পক্ষপাতদুষ্টভাবে কাজ করছে। গত বছরের এপ্রিলে কেজরীবালকে ৯ ঘণ্টা ধরে জেরা করার পর, এতদিন বাদে কেন হঠাৎ তাঁকে আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হল।

এরপরে কেজরীবালকে মামলায় সাক্ষী হিসাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তাঁর সপক্ষে আইনজীবী বিক্রম চৌধুরী বলেন, “একজন নিরীহ নাগরিক বনাম রাজ্যের ক্ষমতার লড়াই। ২০২২ সালের অগস্ট মাস থেকে এই মামলা ঝুলে রয়েছে। আমার মক্কেল হাজিরা দিয়েছেন, ৯ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করেছেন। এরপর একটাও নোটিস পাঠানো হয়নি। হঠাৎ কীভাবে তাঁকে সাক্ষী থেকে অভিযুক্ত করে দেওয়া হল…”

সিবিআই জবাবে বলে, “বেকার অভিযোগ আনা হচ্ছে। আমরা নির্বাচনের আগে বা নির্বাচন চলাকালীনও গ্রেফতার করতে পারতাম, কিন্তু করিনি। আদালতের অনুমতির পরই এই কাজ করা হয়েছে। ধরা যাক, যদি তদন্ত হয়, আমরা কেজরীবালকে বলতে বাধ্য নই, আদালতে আমরা জানাব যে হেফাজত চাই।”