Sonia Gandhi: আদালতে বড় স্বস্তি সনিয়ার! নাগরিকত্ব ইস্য়ুতে খারিজ ‘বিজেপির মামলা’
Sonia Gandhi in Court: গত মাসে সনিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্য়বহার করে ভোটার তালিকায় নাম তোলার অভিযোগ করেছিলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাঁর অভিযোগ, ভারতীয় নাগরিক না হওয়া সত্ত্বেও ১৯৮০ সালের ভোটার তালিকায় নাম উঠে গিয়েছে কংগ্রেস নেত্রীর।

নয়াদিল্লি: ভারতের নাগরিক হওয়ার তিন বছর আগেই তাঁর নাম জুড়েছে ভোটার তালিকায়। আর এই কাজে সনিয়া ভুয়ো নথি ব্যবহার করেছিলেন বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সনিয়ার এই নাগরিকত্ব ইস্যুকে হাতিয়ার করেছিলেন বিজেপি নেতারাও। জাতীয় রাজনীতিতে তৈরি হয়েছিল শোরগোল। আর সেই আবহেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে স্বস্তি পেলেন কংগ্রেস সাংসদ। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের অনুমতির আবেদন খারিজ করে দিল আদালত।
গত মাসে সনিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্য়বহার করে ভোটার তালিকায় নাম তোলার অভিযোগ করেছিলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাঁর অভিযোগ, ভারতীয় নাগরিক না হওয়া সত্ত্বেও ১৯৮০ সালের ভোটার তালিকায় নাম উঠে গিয়েছে কংগ্রেস নেত্রীর। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নিজের এক্স হ্য়ান্ডেলে যাবতীয় নথিপত্রও তুলে ধরেছিলেন ওই বিজেপি নেতা। শুরু হয় বিতর্ক। যা গড়ায় আদালত পর্যন্ত।
বুধবার সনিয়ার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার আর্জিতে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে দ্বারস্থ হন বিকাশ ত্রিপাঠি নামে এক মামলাকারী। তাঁর হয়ে সওয়াল করেন পবন নারাং নামে এক আইনজীবী। আদালতে ওই সওয়ালকারী দাবি করেন, ‘১৯৮০ সালের ভোটার তালিকায় কংগ্রেস নেত্রীর নাম ছিল। কিন্তু ১৯৮২ সালের তালিকায় দু’জনের নাম বাদ দেয় কমিশন। একজন সঞ্জয় গান্ধী, অন্যজন সনিয়া গান্ধী। সঞ্জয় গান্ধীর বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়ার কারণে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু সনিয়া গান্ধীর নাম কেন বাদ গেল? আর তারপরেই ১৯৮৩ সালে তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতেই ফের তালিকায় তাঁর নাম জুড়ে দেওয়া হল।’
এরপরেই এই অভিযোগের ভিত্তিতেই কংগ্রেস নেত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের অনুমতি চান সওয়ালকারী। এদিনের আবেদন পর্বে কংগ্রেস নেত্রীর হয়ে আদালতে কেউ উপস্থিত ছিলেন না। ফলত, সনিয়ার তরফের যুক্তিও শোনা হয় না। একদিনের জন্য রায় স্থগিত রাখেন বিচারক। দিন পেরতেই বৃহস্পতিবার দিল্লির ওই আদালত মামলাকারী আবেদন খারিজ করে। অর্ডার কপি এখনও মেলেনি।
