নয়া দিল্লি: ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে বদলে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও পরিচয়ের প্রমাণ লাগবে না। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার সেই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়। সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা খারিজ করে দিয়েছে। গত ২৩ মে এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল। ওই দিন রায় দান স্থগিত রেখেছিল ডিভিশন বেঞ্চ। এদিনের রায়ে এট স্পষ্ট যে ২০০০ টাকার নোট বদলাতে লাগবে না কোনও পরিচয়পত্র।
গত সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সময়, আরবিআই-এর পক্ষে আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন সিনিয়র আইনজীবী পরাগ পি ত্রিপাঠী। তিনি অশ্বিনী উপাধ্যায়ের আবেদনের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “এটা নোট বাতিল নয়। এটা একটা বিধি সম্মত অনুশীলন।” অশ্বিনী উপাধ্যায় তাঁর আবেদনে যে বিষয়গুলি তুলেছেন, সেগুলির কোনওটিই জনসাধারণের সমস্যার উপর প্রভাব ফেলে না। তিনি বেশ কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরে জানান, অর্থনৈতিক নীতির ক্ষেত্রে আদালত হস্তক্ষেপ করে না।
তাঁর আবেদনে অশ্বিনী উপাধ্যায় দাবি করেছিলেন যে, আরবিআই এবং এসবিআই-এর বিজ্ঞপ্তিগুলি স্বেচ্ছাচারী, অযৌক্তিক এবং ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদকে ১৪-র লঙ্ঘনকারী। তাঁর আবেদনে তিনি আরও চেয়েছিলেন যে, ২০০০ টাকার নোট শুধুমাত্র নিজ নিজ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। অন্য কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যাতে কেউ কোনও ২০০০ টাকার নোট জমা না দিতে পারেন, তার জন্য আদালত আরবিআই এবং এসবিআই-কে নির্দেশ দিক। দুর্নীতি, বেনামি লেনদেন এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করতে, কালো টাকা এবং অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তিধারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদনও করেছিলেন তিনি।
সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সিন্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। তবে, তারপরও ২০০০ টাকার নোটগুলি বৈধ থাকবে বলে জানিয়েছে আরবিআই। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে, নাগরিকদের তাদের কাছে থাকা ২০০০ টাকার নোটগুলি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া অথবা ব্যাঙ্কে গিয়ে সেগুলি বদলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরবিআই এবং এসবিআই – দুই পক্ষই জানিয়েছিল যে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২০০০ টাকার নোট জমা দিতে কোনও পরিচয়পত্র লাগবে না।