নয়া দিল্লি: একদিনের মধ্যে বদলে গেল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের ভাগ্য। বৃহস্পতিবার, দিল্লির আবগারি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তহবিল তছরুপের মামলায় তাঁকে জামিন দিয়েছিল নিম্ন আদালত। কিন্তু, শুক্রবার (২১ জুন), ইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে, নিম্ন আদালতের সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল দিল্লি হাইকোর্ট। ইডির আবেদনের ভিত্তিতে হওয়া মামলার রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত, কেজরীবালকে তিহার জেলেই থাকতে হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ২৫ জুন ইডির আবেদনে হওয়া মামলার রায় দিতে পারে হাইকোর্ট। নিম্ন আদালত এক লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডের ভিত্তিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জামিন দিয়েছিল। তবে, কেজরীবালের বন্ড গ্রহণ করার জন্য আদালতের কাছে ৪৮ ঘন্টা সময় চেয়েছিল ইডি। নিম্ন আদালতের দেওয়া আদেশকে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করার জন্যই এই সময় চেয়েছিল তারা।
এদিন দিল্লি হাইকোর্টে, ইডির পক্ষে হাজিরক ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু। তিনি দাবি করেন, নিম্ন আদালতে তাঁকে তাঁর যুক্তি দেওয়ার ‘পূর্ণ সুযোগ’ই দেওয়া হয়নি। তিনি নিম্ন আদালতের রায়কে ‘বিকৃত’ বলে দাবি করে বলেন, “দুই পক্ষের নথিপত্র না দেখে, আমাদের সুযোগ না দিয়েই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও দাবি করেন, তাঁকে যুক্তি উপস্থাপন করার বা লিখিত প্রমাণ দাখিল করার জন্য পর্যাপ্ত সময়ও দেওয়া হয়নি। নিম্ন আদালতের বিচারক মামলাটির নিষ্পত্তি করার জন্য তাড়াহুড়ো করেছন বলেও জানিয়েছেন তিনি। সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু আরও জানান, তাঁরা যে নথিপত্র জমা দিয়েছিলেন, তা খুব “ভারী” ছিল বলে মন্তব্য করেছেন নিম্ন আদালতের বিচারক। এর থেকেই স্পষ্ট, নথিগুলি তিনি দেখেননি।
অন্যদিকে কেজরীবালের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী, অভিষেক মনু সিংভি। তিনি জানান, হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিন নয়, গ্রেফতারের বৈধতা যাচাই করছে। গ্রেফতারির বৈধতার বিষয়ে রায় সংরক্ষিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। জামিন মঞ্জুর করার বিষয়ে খুব স্পষ্ট আইন আছে। অরবিন্দ কেজরীবাল এক পয়সা নিয়েছেন বলে জানা যায়নি। অন্যদিকে, যার বিবৃতির ভিত্তিতে কেজরীবালতকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই অরবিন্দ ফার্মার ডিরেক্টর, শরথ রেড্ডিকে সামান্য পিঠের ব্যথার কারণে জামিন দেওয়া হয়েছে। কেজরীবালের পক্ষে হাজির ছিলেন আরেক বরিষ্ঠ আইনজীবী, বিক্রম চৌধুরীও। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজুর দাবি সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি বলেন, “নিম্ন আদালতে ইডি সাত ঘন্টার ধরে তর্ক করেছে। এটা কি যথেষ্ট নয়?”