মাঝপথে আটক প্রিয়ঙ্কা, রাহুল গেলেন রাষ্ট্রপতির কাছে, বললেন ‘দেশে কোনও গণতন্ত্র নেই’
রাহুল গান্ধী বলেন, "কোন গণতন্ত্রের কথা বলছেন আপনারা? এই দেশে কোনও গণতন্ত্র নেই। কেবল আপনাদের কল্পনাতেই গণতন্ত্র থাকতে পারে, বাস্তবে নয়।"
নয়া দিল্লি: রাষ্ট্রপতি ভবন পৌঁছানো হল না, তার আগেই মাঝপথ থেকে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) সহ বাকি কংগ্রেস নেতৃত্বদের আটক করল দিল্লি পুলিস (Delhi Police)। কৃষি আইন (Farm laws) প্রত্যাহারের দাবিতে দুই কোটি কৃষকের সই নিয়ে আজ তাঁরা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ramnath Kovind) সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছিলেন। সকাল ১০.৪৫ নাগাদ বিজয় চক থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বরা। মাঝপথেই তাঁদের আটকে দেয় দিল্লি পুলিস। তবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), গুলাম নবি আজাদ (Gulam Nabi Azad) ও অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Choudhury)।
পুলিসের কাছে বাধা পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তিনি বলেন, “আমরা গণতন্ত্রে বসবাস করি এবং এরা সকলেই নির্বাচিত সাংসদ। তাদের সকলের অধিকার রয়েছে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার। এতে সমস্যা কোথায়? লক্ষাধিক কৃষক, যারা সীমান্তে বসে রয়েছেন, তাদের কথা শুনতে প্রস্তুত নয় সরকার।”
Sometimes they say we are so weak that we don’t qualify as Opposition and sometimes, they say that we are so powerful that we have made lakhs of farmers camp at the border (of Delhi) for a month. They should first decide what we are: Congress leader Priyanka Gandhi pic.twitter.com/3tPGizShIY
— ANI (@ANI) December 24, 2020
তিনি আরও যোগ করে বলেন, “ওরা (শাসক দল) কখনও বলে যে আমরা এতটাই দুর্বল যে বিরোধী দল হিসাবে উত্তীর্ণও হই না। আবার কখনও বলে যে, আমরা এতটাই শক্তিশালী যে সীমান্তে দীর্ঘ একমাস ধরে কৃষকদের বসিয়ে রেখেছি। তাদের প্রথমে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যে আমরা কী?”
আরও পড়ুন: ভারতে হানা দিল করোনার নতুন ‘স্ট্রেন!’ ভাইরাস নিয়েই ট্রেন সফর আক্রান্তর
প্রিয়ঙ্কা গান্ধী সহ অন্যান্য নেতাদের আটক করে দিল্লির মন্দির মার্গ পুলিস স্টেশনে (Mandir Marg Police Station) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে রাহুল গান্ধী, গুলাম নবি আজাদ ও অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে আটক করেনি পুলিস। তাঁরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, “আমি রাষ্ট্রপতিকে বলেছি যে এই কৃষি আইনগুলি কৃষক বিরোধী। গোটা দেশ দেখছে কৃষকরা কীভাবে এই আইনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “যতক্ষণ না এই আইনগুলি প্রত্যাহার করা হচ্ছে, কৃষকরা বাড়ি ফিরবেন না। সরকারের উচিত যৌথ অধিবেশন ডেকে এই আইনগুলি প্রত্যাহার করা। বিরোধী দলগুলি কৃষক ও শ্রমিকদের পাশেই দাঁড়াবে। প্রধানমন্ত্রী কেবল পুঁজিবাদীদের জন্যই অর্থ উপার্জন করছে। কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে সন্ত্রাসবাদীর তকমা দেওয়া হবে, তা সে কৃষক কিংবা শ্রমিক হোক, এমনকি মোহন ভাগবতকেও সন্ত্রাসবাদী বলা হবে।”
কংগ্রেস নেতৃত্বদের আটক করার বিষয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ” এটাই তো ওদের কাজ, আটক করা, মারধোর করা। তবে আমরা ভয় পাবো না। কোন গণতন্ত্রের কথা বলছেন আপনারা? এই দেশে কোনও গণতন্ত্র নেই। কেবল আপনাদের কল্পনাতেই গণতন্ত্র থাকতে পারে, বাস্তবে নয়।”
#WATCH | There is no democracy in India. It can be in your imagination, but not in reality: Congress leader Rahul Gandhi on Delhi Police taking party leaders into custody during their march to Rashtrapati Bhavan pic.twitter.com/7oYfUDEkEM
— ANI (@ANI) December 24, 2020
চিন প্রসঙ্গ টেনেও রাহুল গান্ধী বলেন, “ভারতের কয়েক হাজার কিলোমিটার জমি কেড়ে নিয়েছে চিন। প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়ে কেন কথা বলেন না? সেই বিষয়ে কেন চুপ থাকেন তিনি? ”
আরও পড়ুন: রাজপথে রাহুল, কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন শীর্ষ কংগ্রেস নেতৃত্ব