AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Forced Abortion: ১৪ বার গর্ভপাত করিয়েছে লিভ ইন পার্টনার! অবসাদে আত্মঘাতী ৩৩ বছরের মহিলা

Suicide Case: পুলিশ জানিয়েছে, আত্মঘাতী মহিলার লিভ ইন পার্টনার একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মী। নয়ডার অফিস তাঁর। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬, ৩৭৬, ৩১৩ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Forced Abortion: ১৪ বার গর্ভপাত করিয়েছে লিভ ইন পার্টনার! অবসাদে আত্মঘাতী ৩৩ বছরের মহিলা
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Jul 15, 2022 | 3:53 PM
Share

নয়াদিল্লি: আট বছর ধরে এক ব্যক্তির সঙ্গে লিভ ইন করছিলেন ৩৩ বছরের মহিলা। কিন্তু সম্প্রতি বিয়ে করতে অস্বীকার করেন ওই ব্যক্তি। এর পরই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৩৩ বছরের ওই মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির জৈতপুর এলাকায়। ৫ জুলাই আত্মহত্যা করেছেন ওই মহিলা। বৃহস্পতিবার ঘটনার কথা জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার লিভ ইন পার্টনার তাঁকে ১৪ বার গর্ভপাত করতে বাধ্য করেছিলেন। ওই মহিলার লিভ ইন পার্টনারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা এবং ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ।

দিল্লির পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ-পূর্ব) এষা পান্ডে বলেছেন, “৫ জুলাই আমাদের কাছে একটি ফোন আসে। সেখানে জানানো হয়, জৈতপুরে এক মহিলা আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশের একটি দল ছুটে যায় সেখানে। তখন দেখা যায় ঘরেই ঝুলছে ওই মহিলার দেহ। তখন তাঁকে নিয়ে এইমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখন চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।” তিনি আরও জানিয়েছেন, মহিলার একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সুইসাইড নোট থেকে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা সাত আট বছর আগে থেকে স্বামীর থেকে আলাদা থাকেন। তার পর থেকে এক ব্য়ক্তির সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, আত্মঘাতী মহিলার লিভ ইন পার্টনার একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মী। নয়ডার অফিস তাঁর। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬, ৩৭৬, ৩১৩ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার লিভ ইন পার্টনার তাঁকে ১৪ বার জোর করে গর্ভপাত করিয়েছিলেন। ওই মহিলার স্বামীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার বাবা-মা থাকেন বিহারের মুজফ্ফরপুরে। তাঁদের খবর দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর ওই মহিলার দেহ তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।