Sonia Gandhi: আমন্ত্রণ পেয়েছেন, রাম মন্দির উদ্বোধনে যাবেন কি সনিয়া গান্ধী?
Sonia Gandhi Ayodhya Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সনিয়া গান্ধীকে। কিন্তু, এই অনুষ্ঠানে কি যোগ দেবেন সনিয়া গান্ধী? কী জানালেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং।
নয়া দিল্লি: অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধীকে। বৃহস্পতিবার এই খবর নিশ্চিত করেছেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। কিন্তু, রাম মন্দিরের উদ্বোধনে কি যাবেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী? দিগ্বিজয় সিং জানিয়েছেন, রাম মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন নিয়ে অত্যন্ত ইতিবাচক সনিয়া। কংগ্রেস নেতা বলেন, “এই বিষয়ে তাঁর কী আপত্তি থাকতে পারে? হয় তিনি যাবেন অথবা তাঁর পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধি দল রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেবে। ” প্রসঙ্গত ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধন হওয়ার কথা।
সনিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, তাঁকে এই অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি বলে জানিয়েছেন দিগ্বিজয় সিং। এই বিষয়ে তিনি বলেছেন, “ওরা (বিজেপি) আমাকে আমন্ত্রণ জানাবে না, কারণ ওরা সত্যিকারের ভক্তদের আমন্ত্রণ জানায় না। সে মুরলীমনোহর যোশী, লালকৃষ্ণ আদবানি বা দিগ্বিজয় সিং, যেই হোক না কেন, ওরা আমন্ত্রণ জানাবে না।” শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষ থেকে চলতি সপ্তাহের শুরুতে, রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানের জন্য সনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়।
বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের ছাড়াও, অমিতাভ বচ্চন-সহ এক গুচ্ছ বলিউড অভিনেতাদেরও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে রাম মন্দির ট্রাস্ট। এর মধ্যে আছেন, মাধুরী দীক্ষিত, অনুপম খের, অক্ষয় কুমার এবং পরিচালক রাজকুমার হিরানি, সঞ্জয় লীলা বনসালি, রোহিত শেট্টি প্রমুখ। বলিউডের বাইরে, রজনীকান্ত, চিরঞ্জীবী, মোহনলাল, ধনুশ, ঋষভ শেঠিদের মতো দক্ষিণী সেলিব্রিটিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ট্রাস্টের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের জন্য সব সম্প্রদায়ের চার হাজার সাধুকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
২২ জানুয়ারি দুপুরে রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালাকে সিংহাসনে বসানো হবে। তার আগে ১৬ জানুয়ারি থেকে অযোধ্যার রাম মন্দিরে শুরু হয়ে যাবে বিভিন্ন বৈদিক আচার অনুষ্ঠান। লক্ষ্মী কান্ত দীক্ষিত নামে বারাণসীর এক পুরোহিত মূল অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। হাজার হাজার ভক্তদের থাকার জন্য অযোধ্যায় বেশ কয়েকটি তাঁবু- শহরও তৈরি করা হচ্ছে। শ্রী রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট অনুসারে, ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ লোকের থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে।