নয়াদিল্লি ও লন্ডন: প্রখ্যাত বিজ্ঞানী এবং সমালোচনামূলক এবং উদীয়মান প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক লিডার বিবেক লালের সাফল্যের মুকুটে জুড়ল আরও একটি পালক। এবার তাঁকে সম্মানিত করল ব্রিটেনের সংসদ। সমালোচনামূলক এবং উদীয়মান প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য গত সপ্তাহে ব্রিটেনের সংসদ তাঁকে সম্মানিত করে। একাধিক আন্তর্জাতিক নেতার উপস্থিতিতে ২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড লিডার্স অ্যাওয়ার্ড তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড।
ভারত-আমেরিকা প্রতিরক্ষা চুক্তিতে ডক্টর বিবেক লালের ভূমিকা-
ভারত ও আমেরিকার মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় ডক্টর বিবেক লালের ভূমিকা অপরিসীম। তাঁর দূরদৃষ্টির জেরে দুই দেশের একাধিক প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিরক্ষা ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে।
কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চুক্তি-
বর্তমানে তিনি দুই দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন। প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে ৩১টি এমকিউ-৯বি প্রিডেটর ড্রোন কিনতে চায় ভারত। এখনও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। তা নিয়ে আলোচনায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন ডক্টর বিবেক লাল। ভারত ও আমেরিকার প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে নিরলস চেষ্টা করে চলেছেন ডক্টর বিবেক লাল।
উদদেষ্টার ভূমিকা-
বছর পঞ্চান্নর মার্কিন এই বিজ্ঞানী একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করেছেন। ২০২৩ সালে কোয়াড ইনভেস্টরস নেটওয়ার্কের অ্যাডভাইসারি বোর্ডে তাঁকে সামিল করা হয়। NATO-র বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি সংগঠনে আমেরিকার টেকনিক্যাল টিম মেম্বার হিসেবে তাঁকে নিয়োগ করা হয়। শুধু তাই নয়, আমেরিকার একাধিক চেম্বার অব কর্মাস বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি। ওয়াশিংটনে অবস্থিত আমেরিকা-জাপান বাণিজ্য কাউন্সিল ও আমেরিকা-ভারত বাণিজ্য কাউন্সিলের বোর্ড অব ডিরেক্টরসে রয়েছেন তিনি। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়েও সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ডক্টর বিবেক লাল। ২০১৮ সালে আমেরিকা প্রশাসন তাঁকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করেছিল।
আমেরিকা-ভারতের মধ্যে প্রযুক্তি সহযোগিতা আরও বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ডক্টর বিবেক লাল। গত দুই দশক ধরে ভারত-আমেরিকার মধ্যে প্রযুক্তি সহযোগিতা আরও বাড়াতে কাজ করে চলেছেন তিনি। বোয়িং, লকহিড মার্টিন এবং জেনারেল অ্যাটমিকসের মতো কম্পানিতে কাজ করেছেন। দুই দেশের প্রযুক্তি সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করতে যা কাজে লেগেছে।