ECI on Rahul Gandhi: ‘হয় হলফনামায় সই করুন, নয় ক্ষমা চান…’, কমিশনের নিশানায় ফের রাহুল
ECI on Rahul Gandhi: ভোটার তালিকায় কারচুপির যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, হলফনামা দিয়ে শপথ করে সে কথা সাংসদ স্বীকার করুক। অথবা, তিনি যে 'ভুয়ো' দাবি করেছেন, তার ভিত্তিতে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান।

নয়াদিল্লি: হয় হলফনামায় সই করুন অথবা ক্ষমা চান। স্পষ্ট ভাষায় দেশের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে ফের নিশানা নির্বাচন কমিশনের। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে ফের ভোট চুরির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন রাহুল। দুপুরে অভিযোগ। বিকালের মধ্য়েই সরব হয়ে যায় নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস নেতার দিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় তারা।
কর্নাটক, মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকরা রাহুলকে সেই ‘ভুয়ো ভোটারদের’ নাম ও নথি তাদের কাছে জমা দিতে বলে। পাশাপাশি, কমিশনের তরফে জানানো হয়, ভোটার তালিকায় কারচুপির যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, হলফনামা দিয়ে শপথ করে সে কথা সাংসদ স্বীকার করুক। অথবা, তিনি যে ‘ভুয়ো’ দাবি করেছেন, তা স্বীকার করে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান।
যদিও কমিশনের এই নির্দেশের পাল্টা রাহুল গান্ধী জানিয়ে দেন, “আমি সর্বসমক্ষে এ কথা ইতিমধ্যেই বলেছি। আর এটাই আমার শপথ।” শুক্রবার রাহুলের প্রত্যুত্তর। শনিবার নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে কংগ্রেস নেতাকে ফের একই প্রশ্ন ছুড়ে দিল কমিশন। রাহুলের সামনে তুলে ধরল দু’টি দিক, হয় হলফনামা আর নয় ক্ষমা।
বৃহস্পতিবার কমিশনের বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলনেতা। মহারাষ্ট্রের পর তাঁর মুখে শোনা যায় হরিয়ানা, কর্নাটকের কথা। ভোটের অঙ্ক কষে তিনি দাবি করেন, কর্নাটকে লোকসভা নির্বাচনের সময় বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা কেন্দ্রের মহাদেবপুরা বিধানসভায় ১ লক্ষেরও বেশি ভোট চুরি হয়েছে। যাতেই আপত্তি প্রকাশ করে কমিশন।

