পটনা: বুড়ো বয়সেও যেন রেহাই নেই। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনও একাধিকবার দুর্নীতি ‘প্যাঁচে’ পড়েছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি (RJD) প্রধান লালু প্রসাদ যাদব। আজ ৭৬ বছর বয়সে এসেও দুর্নীতি যেন পিছু ছাড়ছে না লালুর।
মঙ্গলবার ফের একবার দুর্নীতি তদন্তে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। জানা গিয়েছে, আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার ইডি অফিসে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। মূলত, ‘চাকরির বিনিময়ে জমি’-কাণ্ডেই আরজেডি প্রধানকে তলব করেছে তদন্তকারীরা।
অবশ্য, শুধুই লালু নয়। পাশাপাশি, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ ও বয়ান রেকর্ডের জন্য তলব করেছে তদন্তকারীরা।
কী এই মামলা?
বিহারে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন লালুর বিরুদ্ধে উঠেছিল পশুখাদ্য দুর্নীতির অভিযোগ। সেই মামলায় পরবর্তীতে জেল হেফাজতও হয়েছিল তাঁর। তবে গোটা জীবনে শুধুই পশুখাদ্য দুর্নীতিতেই নাম জড়ায়নি লালু প্রসাদ যাদবের।
২০০৪ সালে ইউপিএ জমানায় মনমোহন সিংহের প্রধানমন্ত্রীত্বকালে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীরও দায়িত্ব সামলেছিলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব। অভিযোগ, সেই সময় নাকি বেশ কিছু প্রার্থীকে রেলের গ্রুপ-ডি পোস্টে চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে তাদের থেকে সস্তায় জমি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। এবার সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সস্ত্রীক লালু-সহ তাঁর পরিবারের বেশ কিছু সদস্যদের তলব করেছে ইডি।
সূত্রের খবর, ইডি ডাক দিলেও, সম্ভবত সেই ডাকে সাড়া দেবে না যাদব পরিবার। আপাতত ভাবে ইডির তলবকে হয়তো এড়িয়ে যেতেই চলেছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত বছরই এই মামলায় দিল্লি আদালতে লালু প্রসাদের পরিবারের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে ইডির তদন্তকারীরা। লালুর স্ত্রী রাবড়ি দেবী ও কন্যা মিসা ভারতীকে এই মামলায় অভিযুক্ত বলে দাবি করে তাঁরা।